জ্ঞানবাপী মসজিদের সমীক্ষায় কী কী মিলল? ইতিহাস পাল্টে দেওয়ার মতো তথ্য প্রকাশ্যে

শুক্রবার থেকে জিপিআর পদ্ধতির মাধ্যমে সার্ভে করা হবে। এর জন্য কানপুর থেকে আসছে বিশেষজ্ঞ দল।

জ্ঞানবাপী মসজিদ নাকি মন্দির? উত্তরপ্রদেশে এই নিয়েই এখন বিতর্ক তুঙ্গে। বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। ফলে বিতর্কের হাওয়ায় গা সেঁকছে রাজনৈতিক দলগুলিও। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের স্পষ্ট কথা, ‘জ্ঞানবাপীকে মসজিদ বললে বিতর্ক হবেই’। অন্যদিকে মুসলিম পক্ষের দাবি, ‘এটা মসজিদ। এখানে এসব চললে আমরা নমাজ পড়ব কোথায়’? এসবের মধ্যেই জ্ঞানবাপী চত্বরে সার্ভে চালাচ্ছে এএসআই।

আজ, বুধবার সার্ভের সপ্তম দিন। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের নন্দীর অবস্থান মসজিদের দিকে। মঙ্গলবার এই অংশের বেসমেন্টে সমীক্ষা চালায় এএসআই। এছাড়া মসজিদের মুখ্য গম্বুজও পরীক্ষা করে দেখে তারা। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গম্বুজ তৈরির সময়কাল পরীক্ষা করে দেখা হয়। শুক্রবার থেকে জিপিআর পদ্ধতির মাধ্যমে সার্ভে করা হবে। এর জন্য কানপুর থেকে আনা হচ্ছে বিশেষজ্ঞ দল।

Gyanvapi Mosque,Survey,ASI,Uttar Pradesh,Hindu,Muslim

এখন প্রশ্ন হল, সার্ভেতে কী কী মিলল? জানা যাচ্ছে, বেসমেন্ট থেকে এমন কিছু প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন মিলেছে যার সময়কাল মসজিদ নির্মাণের আগের বলেই মনে করা হচ্ছে। এই নিয়ে ন্যাশনাল মিডিয়ায় বেশ কিছু খবর চলছে। তবে তার সত্যতা নিয়ে রা কাড়েনি এএসআই। এই নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে মুসলিম পক্ষ। তাদের দাবি, হিন্দুদের তরফে আজগুবি খবর রটানো হচ্ছে। এমন চলতে থাকলে তারা সার্ভে বয়কট করবে। সার্ভে নিয়ে মিডিয়া কভারেজ বন্ধের দাবিতে আদালতে আর্জি জানিয়েছে আঞ্জুমান ইন্তেজিয়া কমিটি।

জ্ঞানবাপী মামলায় হিন্দু পক্ষের তরফে বিস্ফোরক দাবি করা হচ্ছে। মামলাকারী সীতা সাহুর দাবি, ‘মসজিদের বেসমেন্টেই লুকিয়ে রয়েছে আসল সত্য। যে পরিমাণ হিন্দু নিদর্শন রয়েছে তা কল্পনার অতীত’। তাঁর আরও দাবি, ‘বেসমেন্টের পশ্চিমদিকের দেওয়াল দেখলেই সব রহস্য পরিস্কার হয়ে যাবে। সেখান থেকে স্বস্তিকা চিহ্ন, পদ্মচিহ্ন, ত্রিশূল এবং বেশ কিছু মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। হিন্দু ধর্মের প্রতীক এই চিহ্নগুলোকে লুকোতে উপরে চুন লেপে দেওয়া হয়েছিল’।

প্রসঙ্গত, জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে শৃঙ্গার গৌরী দেবীর মূর্তি খোদাই করা আছে। বছরে একদিন সেখানে পুজো হত। দেশের নানা প্রান্ত থেকে হিন্দু মহিলারা বারাণসীতে গিয়ে শৃঙ্গার গৌরী দেবীর পুজো করতেন। সম্প্রতি সারা বছর পুজো করার অনুমতি চেয়ে আদালতে মামলা করেন পাঁচ মহিলা। সেখান থেকেই জ্ঞানবাপী বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়।




Leave a Reply

Back to top button