এ যেন গেরুয়া হুঁশিয়ারি! দরজা ভেঙে ঢুকে গেরুয়া রঙে রাঙিয়ে দিল মসজিদ

মধ্যপ্রদেশের হোসাঙ্গাবাদ শহরের নর্মদাপুরম এলাকায় বিগত পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে অবস্থিত এই ছোট্ট মসজিদটি। এক সময় স্থানীয়দের উদ্যোগেই নির্মাণ করা হয় ( Hoshangabad Shrine vandalised ) মসজিদটি। বিগত কয়েকবছরে পরিবর্তন হয়েছে এই দেশের মানুষের মানসিকতা। স্বাধীনতার পর ফের যেন নতুন করে সাম্প্রদায়িকতার বহ্নিজ্বালে জড়িয়ে পড়েছে দেশের অধিকাংশ মানুষ। রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণের উদ্দেশে সাধারণ মানুষকে সাম্প্রদায়িক আগুনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কিছু সিংহাসন লোভী দল।

আর সেই আগুনের মধ্যে নেমে কখন কী করছে সেই হুঁশ হারিয়ে ফেলছে সাধারণ মানুষ। ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। পাঁচ দশক ধরে অবস্থিত সেই মসজিদকে ( Hoshangabad Shrine vandalised ) ঘিরে হটাৎই তৈরি হয় উত্তেজনা। কানে ভেসে আসে কিছু দুষ্কৃতির দল মসজিদ ভেঙে দিয়েছে। এমনকি, মসজিদ ভেঙে তার দেওয়াল ও ভিতরে আল্লাহ-এর যে সমাধি মূর্তি স্থাপিত থাকে তাতে গেরুয়া রঙ করে দিয়েছে। ঘটনায় অভিযোগের তির স্বাভাবিকভাবেই ওঠে কোনও হিন্দু সংগঠনের উপর।

ইতিমধ্যে গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ধর্মের আঘাত আনায় ক্ষিপ্ত সেখানকার মানুষজন। মসজিদটির  অধিকাংশ অংশই গেরুয়া রঙ করে দিয়েছে দুষ্কৃতির দল। সেই মসজিদটির পাহারাদারকে এই ঘটনার প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায়, “সকাল ৬টা নাগাদ গ্রামের কিছু অল্প বয়সী ছেলে আমাকে এসে জানায় মসজিদে ( Hoshangabad Shrine vandalised ) গেরুয়া রঙ করা হয়েছে। আমি তৎক্ষণাৎ মসজিদ চত্বরের দিকে রওনা দি। সেখানে পৌঁছে দেখতে পাই মসজিদের দরজা ভেঙে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে নদীর পাশে। আর শুধুই যে মসজিদের গায়ে গেরুয়া রঙ চাপানো হয়েছে এমনটা মোটেই নয়। গোটা মসজিদের বাইরে-ভিতরে, এমনকি মসজিদের মধ্যে স্থাপিত সমাধিতেও গেরুয়া রঙ করে দিয়েছে দুষ্কৃতিরা।”

আরও পড়ুন…Punjab Assembly Election: পহলে ‘আপ’! পাঞ্জাবের মসনদে কেজরি,ভাগবন্তের বিপুল জয়ের পাঁচকাহন

ইতিমধ্যে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে স্থানীয়রা। গোটা ঘটনাকে ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “গোটা ঘটনার ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের সর্ব প্রথম কাজ হবে ( Hoshangabad Shrine vandalised ) মসজিদটি ঠিক করা। এরপর দুষ্কৃতিদের খুঁজে বের করা ও গ্রেফতার করা।” এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের বক্তব্য, “আমাদের এই এলাকার অন্য সম্প্রদায়দের উপর কোনও সন্দেহ নেই। কারণ এই এলাকায় দু’টি সম্প্রদায়ের মানুষজন খুব মিলেমিশে থাকে। তাদের মধ্যে আজ অবধি কোনও রকম অশান্তির ছোট্ট শিখারও দেখা মেলেনি।”




Leave a Reply

Back to top button