Air India-র সিইও পদে সাফ নাকচ ইলকার আইসির

নয়া দিল্লি- কে হচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া ( Air India ) -র নতুন সিইও, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ জল্পনা-কল্পনা চলছিলো। তবে এবার এয়ার ইন্ডিয়ার এই প্রস্তাবে সাফ নাকচ জানিয়েছেন টার্কিশ এয়ারলাইন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ইলকার আইসি (Ilker Ayci) । মঙ্গলবার টাটার এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, তার নিয়োগে খবর প্রকাশের পর থেকেই ভারতে তা নিয়ে শুরু হয় বিরোধিতা।
আইসি এদিন জানান, নতুন সিইও হিসেবে তার নিয়োগের খবর জানাজানি হতেই, তাঁর পূর্ববর্তী রাজনীতির সূত্র ধরেই ভারতে শুরু হয় এই প্রস্তাবের বিরোধিতা। সেই কারণেই এই প্রস্তাবে সাফ না জানান তিনি। তাঁর মতে, ‘একজন ব্যবসায়িক নেতৃত্ব হিসেবে যে সর্বদা পেশাদারীত্বকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে এই ধরনের ছায়ার বর্ণণায় এই পদের জন্য ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া কার্যকর বা সম্মানজনক হবে না।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে বিজেপির মুখ্যপরামর্শকারী সংগঠন আরএসএস তুরস্কে আইসির পূর্ববর্তী রাজনৈতিক জীবনকে তাক করে তার এই নিয়োগ বাতিলের জন্য সরকারকে আহ্বান জানায়। একজন বিদেশী নাগরিক হিসেবে একটি ভারতীয় বিমান সংস্থার ( Air India ) কর্ণধার হতে বেশ কিছু সরকারি ছাড়পত্রের প্রযোজন হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই সিদ্ধান্তে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে দিল্লির।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে ইস্তাম্বুলের মেয়র এবং তুরস্কের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি সুলেমান ডেমিরেল (Suleyman Demirel)-এর শাসনকালে তুরস্কের বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি রেসেপ তাইইপ এরদোগান(Recep Tayyip Erdogan)-এর উপদেষ্টা ছিলেন ইলকার আইসি। সাম্প্রতিক টাটার ( Air India ) চেয়ারম্যান, এন চন্দ্রশেখরনের(N Chandrasekaran) সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে এই সিদ্ধান্ত জানান তিনি। ভারতীয় মিডিয়াকে তোপ দেগে তাঁর বিরুদ্ধে রঙচঙে খবর প্রকাশের অভিযোগও করেন তিনি।
আইসির এই সিদ্ধান্তে নিঃসন্দেহে একটি বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন হয় ( Air India ) এয়ার ইন্ডিয়া। এমনিতেই প্রায় ২.৪ বিলিয়ান ঋণে জর্জরিত এয়ার ইন্ডিয়া। এই পরিস্থিতিতে নতুন সিওকে এই ঋণের বোঝা কমাতে বেশ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এই কাজ করতে হবে।