ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে আসা এক অধ্যায়! কারাকক্ষের অন্ধকারে স্বাধীনতার বীজমন্ত্র বোনেন ঋষি অরবিন্দ ঘোষ
ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিনেই জন্ম হয় তাঁর। ইতিহাসে চোখ রেখে তাৎপর্য খুঁজেছিলেন ঋষি অরবিন্দ ঘোষ

পূর্বাশা, হুগলি: সালটা ১৮৭২, দিনটা ১৫ অগাস্ট। ভারতমাতার কোল আলো করে জন্ম নিলেন বিপ্লবী দার্শনিক ভারতের অমর সন্তান ঋষি অরবিন্দ ঘোষ। চাকুরে জীবন থেকে ক্রমে তাঁর বিপ্লবী যোগ তৈরি, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী তিনি ঋষি অরবিন্দ ঘোষ। কারাকক্ষের অন্ধকারেই তিনি খুঁজে পান আপন মুক্তির পথ। সেই পথে নেই কোনো লোভ, লালসা, হিংসা, হানাহানি। আছে কেবল শান্তির জীবনদর্শন। অন্ধ কারাকক্ষে থেকেই
স্বাধীনতার বীজমন্ত্র বুনেছিলেন তিনি। সেই পথে পরে অংশ নেন আপামর ভারতবাসী।
তিনি ছোট থেকে বড় হয়েছেন ইংরেজি মতাদর্শে।
তবে বাল্যকাল ও কিশোরবেলা অতিক্রম করার পর ক্রমে তিনি উপলব্ধি করেন ভারতমাতার টান।
সে সময় থেকে ধীরে ধীরে তাঁর বিপ্লবী সাহচর্য বৃদ্ধি
ও সক্রিয় অংশগ্রহণের দায়ে একসময় জেলবন্দি হন ঋষি অরবিন্দ ঘোষ। তবে সেই বন্দি দশা তাঁর জীবন ও ভাবদর্শন বদলে দেয়। স্বাধীনতার অন্য মাত্রা খোঁজা মানুষটা মুক্তির পর হয়ে ওঠেন ‘ঋষি’।
এরপর ক্রমে সময় এগিয়েছে। রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে বদলে গিয়েছে ভারত। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ভারতের আকাশে উড়েছে তেরঙ্গা পতাকা। গর্বে বুক ভরে চোখে জল নিয়ে ভারতমাতাকে স্মরণ করেছেন ভারতীয় জনগণ।সেই সময় থেকে আজও স্বাধীনতা দিবসের দিন স্মরণ করা হয় ভারতের মুক্তি সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বীরযোদ্ধাদের। ভারতের স্বাধীনতা দিবস পালনের দিনটি প্রাণভরে সাজিয়েছিলেন ঋষি অরবিন্দ ঘোষ। কারণ কয়েক বর্ষ আগে এই দিনেই জন্মগ্রহণ করেন তিনি। স্বাধীনতার তিন রঙে উজ্জীবিত ভারতভূমি তাই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল তাঁর জন্য। স্বাধীনতার বার্তা দিয়েই নিজের বক্তব্য রেখেছিলেন ভারতীয় অমর সন্তান ঋষি অরবিন্দ ঘোষ।