বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে শোচনীয় অবস্থা ভারতের
১২৫টি দেশের মধ্যে ১১১তম স্থানে নেমে এল ভারত

শুভঙ্কর, নয়াদিল্লি: দিন যত যাচ্ছে, ততই ভারতবর্ষের করুণ চিত্র আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। নরেন্দ্র মোদি সরকারের নেতৃত্বে ভারতের এই মুহূর্তের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। প্রায় দুই মাস অন্তর অন্তর উঠে আসে পরিসংখ্যান বা রিপোর্ট, যাতে দেখা যায় বিজেপি সরকারের অধীনে ভারতের অবস্থা শোচনীয়। বিরোধীরা লাগাতার আক্রমণ করে এই রিপোর্ট ঘিরে। কিন্তু কেন্দ্রের শাসকদলের বক্তব্য এসব কিছু বিরোধীদের ও বিদেশী শক্তি বা দেশের শত্রুদের চক্রান্ত। এবার আরও একটি চিন্তার খবর উঠে হল দেশবাসীর জন্য। কি সেই খবর? কেনই বা তা চিন্তাজনক?
১২৫টি দেশের মধ্যে ১১১তম স্থানে নেমে এল ভারত! চলতি বছরে এমনই অবস্থা বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে। এর সঙ্গে যেটা বলা হচ্ছে, সেটা আরও চিন্তার বিষয়। বিশ্বের সর্বোচ্চ শিশুদের অপুষ্টির হার ভারতেই। সেটি হলো ১৮.৭ শতাংশ। জানা গেছে এই হিসেবটি কষা হয়েছে, শিশুদের ওজনের সাপেক্ষে উচ্চতার অনুপাতের ভিত্তিতে। আর কি কি বলা হয়েছে রিপোর্টে? রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২২ সালে ভারতের স্থান ছিল ১০৭ নম্বরে। এবার তা বেড়ে দাঁড়ালো ১১১তে। প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের স্থান ১০২তে, বাংলাদেশ ৮১তে, নেপাল ৬৯ নম্বরে এবং শ্রীলঙ্কা ৬০তম স্থানে।
এখানেই শেষ নয় রিপোর্টে উঠে এসেছে আরও ভয়াবহ চিত্র। জানা গিয়েছে, ৩.১ শতাংশ পাঁচ বছরের নিচে শিশুমৃত্যুর হার, ১৬.৬ শতাংশ মানুষের কপালে জোটেনা স্বাস্থ্যকর খাবার। এছাড়াও ৫৮.১ শতাংশ ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী মহিলারা ভোগেন রক্তাল্পতায়। এই শোচনীয় চিত্রের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই কেন্দ্রকে আক্রমণ করে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দেন মোদি সরকারের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বলেন, “গোটা রিপোর্টটাই ভুল ও ভিত্তিহীন। এখানে অপুষ্টির মাত্রা মাপা হয়েছে মাত্র ৩০০০ জনকে নিয়ে সমীক্ষা করে সরকারি ‘পোষণ ট্র্যাকার’ সম্পূর্ণ উল্টো কথা বলছে। এ দেশে শিশুদের অপুষ্টির হার একটানা ৭.২ শতাংশের নীচে রয়েছে ট্র্যাকার অনুযায়ী।”