রাজনীতির ময়দানে পাপ্পু থেকে গদি মিডিয়া, জনগণের কাছে হাসির খোরাক হয়েছেন যারা

জনগণের নেতা কিংবা নেত্রী কেমন হওয়া উচিত? একটু গম্ভীর, অনেকটা সৎ ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে আজকাল রাজনীতি ( Indian Politicians ) যেন হয়ে উঠেছে মজার জায়গা। কোনও প্রকার শালীনতা ছাড়াই রাজনীতির ময়দানে যখন যাকে পারছে, যে ভাবে পারছে অপমান করে দিচ্ছে। রাজনীতি কী আদতেই এরকম হওয়া উচিত? রাজনীতির ময়দানে যাঁদের নিয়ে মস্করা হয়ে চলেছে আজও, জেনে নিন সেই নামগুলি –
রাহুল গান্ধী
উচ্চ শিক্ষিত ব্যাক্তিত্ব কিন্তু সংবাদমাধ্যম ও বাকি নেতা নেত্রীদের কাছে একজন কমেডিয়ান। লাঠাইটা ঠিক কোন সময় থেকে টেনে ধরতে হবে এই বিষয়ে তাঁর জানা অনেক কম। সংবাদমাধ্যম ও রাজনীতির ময়দানে দিন প্রতিদিন পরিণত হয়েছেন ( Indian Politicians ) হাসির খোরাকে। একজন জাঁদরেল নেতা হতে গেলে প্রথমেই প্রয়োজন জ্ঞাপন পদ্ধতিকে হাতের তালুর মধ্যে আনা। কোন কথা কোন জায়গায় কিংবা কোন পরিস্থিতিতে বলা উচিত এই বিষয়ে থাকতে হয় সঠিক ধারণা। আর না হলে পরিণত হয় মানুষের হাসির খোরাকে।
লালু প্রসাদ যাদব
“যাব তাক রাহেগা আলু, তাব তাক রাহেগা লালু।” আলু আছে তবে ( Indian Politicians ) লালু যেন হারিয়ে গেছে। জাঁদরেল নেতা। যার দাপটে এক কালে কাঁপত বিহার। তবে বিহার কাঁপানোর পাশাপাশি তিনি যে অন্য নেতা নেত্রীদের কাছে হাসির খোরাক ছিলেন এই বিষয়ে বিহারের বাচ্চা বাচ্চা জানত। আসলে তাঁর কণ্ঠস্বরই তাঁকে করে তুলেছিল হাসির পাত্র। তাঁর পাশাপাশি আবার ইংরেজি ভাষাতেও ছিল বেশ সমস্যা। ফলে একটু উচ্চ শিক্ষিত নেতা নেত্রীদের সামনে চুপ করে থাকা ছাড়া কোনও উপায় থাকত না তাঁর কাছে।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল
ভারত জুড়ে দুর্নীতি বিরোধী কণ্ঠস্বর। আর সেই কণ্ঠস্বরের সূত্রপাত যারা করল তাঁদের মধ্যে থেকেই উঠে এলো একটি নাম অরবিন্দ কেজরিওয়াল। একজন ( Indian Politicians ) সাধারণ নাগরিকের মতোই চাল-চলন, পোশাক-আশাক। মানুষের সামনে যখন প্রথম তিনি নিজের দল নিয়ে উঠে এলেন জনগণ ভাবলো হয় তো এবার, এবার তারা পেতে চলেছে একজন দুর্নীতিবিহীন নেতা, একজন সাধারণের নেতা। আজ কেটে গেছে বেশ কয়েক বছর। আর প্রতিবারের মতোই দিন শেষে বোকা হয়েছে জনগণ।
আরও পড়ুন…এখনও আলোড়িত সেই মুহূর্ত,হৃতিক ও রেখার ঘনিষ্ঠ আলিঙ্গন ও ‘লিপ লক’
নভজিৎ সিংহ সিদ্ধু
পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের আর সকল নেতাদের মধ্যে থেকে হটাৎই উঠে এসেছিল তাঁর নাম। একজন দারুণ কমেডিয়ান ও ( Indian Politicians ) রাজনৈতিক নেতা। বর্তমানে কংগ্রেসের আশ্রয় নিলেও এক সময়ে ঘোর রাহুল বিরোধী ব্যাক্তিত্ব নিয়ে ঘুরে বেরিয়েছেন তিনি। কিন্তু যখন তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন, তখন তাঁর রাহুল বিরোধী সেই ব্যাক্তিত্বের প্রসঙ্গ টেনে এনে তাঁকে হাসির খোরাকে পরিণত করে সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে সকল জনগণ।