Railways: রেলওয়ে ট্র্যাকের পাশে কালো বাক্স নাকি রহস্য

প্রত্যুষা সরকার, কলকাতা : ভারতীয় রেল বিশ্বের বৃহত্তম ও ব্যস্ততম রেল পরিবহন ব্যবস্থাগুলির অন্যতম। প্রতিদিন ১ কোটি ৮০ লক্ষেরও বেশি যাত্রী এবং ২০ লক্ষ টনেরও বেশি পণ্য ভারতীয় রেলপথে চলাচল করে।কোথাও ভ্রমণ বা নিত্যদিনের যাতায়াতের জন্য বেশিরভাগ মানুষই ব্যবহার করে থাকে এই রেল পরিষেবা। এবার যাতায়াত সময় কখনও না কখনও ট্র্যাকের পাশে প্রতি ছোট দূরত্বে বর্গাকার ব্লক ( Railways ) টাইপ জায়গা দেখতে থাকবেন। কিন্তু জানেন কি কেন এটা তৈরি করেছে ভারতীয় রেল।
Railways: আশ্রয় নির্দেশক
রেলের ওই বর্গাকার ব্লক গুলিকে বলা হয় আশ্রয় নির্দেশক ( Railways )। যা রেলওয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবার অনেকেরই মনে হতে পারে ছোট ওই বর্গাকার ব্লক কি করে আশ্রয় নির্দেশক হতে পারে। আসুন জেনে নেই সেই সম্পর্কে কিছু কথা।
Railways: কেন তৈরি করা হয় এই ব্লক
প্রায় রোজ সারাদিনই চলতে থাকে রেলের ট্র্যাক মেরামতের কাজ। রেলওয়ের কারিগরি বিভাগের কর্মীরা ট্রলির মাধ্যমে মেরামতের স্থানে পৌঁছে ট্র্যাক মেরামত ও ঠিক করেন। মেরামতের সময় হঠাৎ ওই ট্র্যাক দিয়ে কোন ট্রেন আসার ফলে যাতে, কোন রকম দুর্ঘটনা না ঘটে। রেলের কারিগরি বিভাগের কর্মীদের সুবিধার কথা ভেবেই ভারতীয় রেলের তরফ থেকে বানানো হয় এই বর্গাকার ব্লক ( Railways )।
Railways: ব্লক এর গুরুত্ব
রেলওয়ে ট্র্যাক মেরামতের সময়, সেই লাইনের ট্রেন চলে আসলে রেলওয়ে কারিগরি কর্মীরা তাদের দিকে বর্গাকার ব্লক ( Railways ) এর উপরে নামিয়ে রাখেন। এবং নিজেরাও সেখানে আশ্রয় নেন। এজন্যই এটিকে বলা হয় আশ্রয় নির্দেশক। এরপর ওই ট্রেনটি চলে গেলে কর্মীরা তাদের ট্রলিটি আবার ট্র্যাকের উপরে তুলে নির্দিষ্ট স্টেশনে গন্তব্যে পৌঁছে যান। তাতে সময় ও সঞ্চয় হয়।
আরও পড়ুন….শিক্ষার নয়া ব্যবস্থায় হিসাবে আসছে PPP Model, এই মডেল সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত
আরও পড়ুন….“কফি হাউস কলকাতার সিগনেচার” ঐতিহ্য রক্ষার্থে আর্থিক সাহায্য রাজ্য সরকারের
Railways: ব্লক গুলির গঠন
রেলওয়ে ট্রাক এর পাশে থাকা এই বর্গাকার ব্লক কে বলা হয় রিফিউজ ইন্ডিকেটর ( railway )। এগুলি দেখতে বর্গাকার এবং কংক্রিটের তৈরি। এর উচ্চতা রেলওয়ে ট্র্যাকের সমান। এবং রেলওয়ে ট্র্যাক থেকে বর্গাকার ওয়েবব্লগ পর্যন্ত একটি ঢাল করা থাকে। যাতে রেলের কারিগররা তাদের ট্রলি গুলিকে খুব সহজেই তার উপরে আনতে পারে। এর ফলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে এবং রেলওয়ে কর্মীরাও নিরাপদে থাকেন।