Adivasi Women: ১২ বছর পর ঘরে ফিরছে আদিবাসী কন্যা, এক হয়ে গেল ঝাড়খণ্ড-নেপাল দুই প্রদেশ

গার্থ ডেভিস পরিচালিত ‘লায়ন’ সিনেমায় এক হারিয়ে যাওয়া ভারতীয় শিশুর হারিয়ে গিয়ে দেশান্তরের গল্প আলোড়ন তুলেছিল সিনেমা জগতে। দেব প্যাটেলের অভিনয় নাড়া দিয়েছিল সকলকে। এবার যেন ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিরই বাস্তবিক প্রতিফলন দেখা গেল ঝাড়খণ্ডে। এক হয়ে গেল ঝাড়খণ্ড-নেপাল দুই প্রদেশ ( Jharkhand ) ।

 

দীর্ঘ ১২ বছর পর নিজের বাড়ি ফিরবেন আয়েতবাড়িয়া ওঁরাও ( Jharkhand ) ২০০৯ সালে উত্তরপ্রদেশের এক ইঁট ভাটায় নিজের বাবার সাথে দিনমজুরের কাজ করতে এসে রাতারাতি হারিয়ে যায় ঝাড়খণ্ডের ( Jharkhand ) লোহারডাগা উপজেলার মাসমনা গ্রামের ২০ বছরের এই যুবতী। উত্তরপ্রদশের গোরখপুর থানায় লিখিত ভাবে নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানানোর পরেও হাদিস মেলে না তার। মানবপাচারকীরদের খপ্পরে পরেই তাঁর এই করুণ অবস্থা হয় বলে মনে করা হয়।

এরপর কেটে যায় ১২ বছর, হঠাৎই একদিন খবর আসে প্রতিবেশী দেশ নেপাল থেকে। একটি টুইটের মাধ্যমে জানা যায় নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুর এক আশ্রমে বেশ অনেক বছর ধরে রয়েছে আয়েতবাড়িয়া। এই টুইটের সত্যতা যাচাই করতে তৎপর হয়ে ওঠে ঝাড়খন্ড প্রশাসন ( Jharkhand ) । এই খবর পাকা হওয়ার পরেই ৪ই সেপ্টেম্বর কাঠমাণ্ডু থেকে বিমানে করে দিল্লী এসে পৌঁছায় আয়েতবাড়িয়া। সেখান থেকে রবিবার রাঁচির ট্রেন ধরে নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে ২০ বছরের এই যুবতীর।

 

এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ঝাড়খণ্ডের ( Jharkhand ) মুখ্যমন্ত্রী হেমন সোরেন মানবপাচারকারীদের কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘ আমাদের সরকার প্রত্যেক কন্যা সন্তানের সুরক্ষার জন্যে বদ্ধপরিকর। মানবপাচারকারীদের সাবধান করে দিচ্ছি, আমাদের রাজ্যে এলে তারা কোনোভাবেই রেহাই পাবে না। ‘ অন্যদিকে এই আদিবাসী কন্যা উদ্ধার প্রসঙ্গে নেপাল সরকার ও সেদেশে থাকা ভারতীয় দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান রাজ্যের আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী চম্পাই সোরেন।

আরও পড়ুন: ভাষা দিবসে মেতে উঠেছিল বাঙালী, দেখে নিন মধ্য কলকাতার উদযাপন

 

এদিকে শনিবার দিল্লী এসে পৌঁছন আয়েতবাড়িয়ার দিদি এবং জামাইবাবু। কার্যত একযুগ পর ছোট বোনকে দেখে কেঁদে ভাসান দিদি। আবেগতাড়িত হয়ে বলেন, “সব আসা ছেড়ে দিয়েছিলাম, ভাবিনি কোনোদিন আর ওকে দেখতে পাবো।” অন্যদিকে আয়েতবাড়িয়ার প্রত্যাবর্তনে মাসমনা গ্রামে এখন যেন উৎসবের মেজাজ। ওনার বাবা বিরসা ওরাওঁ মারা গিয়েছেন বেশ অনেক বছর আগেই। জীবনের এই বারোটা বছর ফিরিয়ে দিতে না পারলেও, ঝাড়খন্ড প্রশাসন নতুন নাগরিকত্ব প্রদানের উদ্দেশ্যে তাকে নতুন বাসস্থান ও রেশন কার্ড দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে লোহারডাগার ডেপুটি কমিশনার দিলীপ টোপ্পো জানিয়েছেন আয়েতবাড়িয়া ও তার পরিবারের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।




Leave a Reply

Back to top button