JNU : মহিলা উপাচার্য, প্রথমবারের প্রয়াস জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে

রিমা শিয়ালী, কলকাতা: দিল্লির(Delhi) জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় ( JNU) নিয়োগ করলো প্রথম মহিলা উপাচার্য(vice chancellor)। শিক্ষামন্ত্রক আধিকারিকরা(ministry of education)সংবাদসংস্থা পিটিআই(PTI) এর মাধ্যমে জানিয়েছেন, পুনের সাবিত্রীবাই ফুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের(SPPU) বর্তমান উপাচার্য শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ( JNU) প্রথম মহিলা উপাচার্য রূপে নিযুক্ত করা হয়েছে। তার কার্যকালের মেয়াদ আগামী পাঁচ বছরের জন্য স্থির করা হয়েছে।
ঘোষণাটি আজ (৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২) করা হয়েছে। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শক(visitor) রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নিজেই শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ীকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ( JNU) নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছেন এবং তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় এর পূর্ববর্তী উপাচার্য এম জগদেশ কুমার গত সপ্তাহে ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশনের ( UGC) চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।তিনি জানিয়েছেন, “শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ীকে পরবর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি।”
JNU: প্রথম মহিলা উপাচার্য
শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ী পন্ডিত ১৯৬২ সালের ১৫ জুলাই রাশিয়ার সেন্ট পিটর্সবার্গে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেখানে তার মা লেনিনগ্রাদ অরিয়েন্টাল ফ্যাকাল্টি বিভাগে তামিল এবং তেলেগু ভাষার প্রশিক্ষণ দিতেন। তিনি ছিলেন জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন প্রাক্তন ছাত্রী। ১৯৮৬-১৯৯০ সালের মধ্যেই তিনি স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ থেকে বিদেশ নীতির ওপর এমফিল এবং পিএইচডি করেছিলেন। তিনি মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বর্ণপদকেও ভূষিত হয়েছিলেন। ১৯৮৮ সালে তিনি প্রথম গোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে নিজের কর্মজীবনের সূচনা করেন। এরপর ১৯৯৩ সালে ৫৯ বছর বয়সে তিনি পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি এবং জনপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ী একজন বিশিষ্ট ভাষাবিদ ছিলেন যিনি তেলেগু, তামিল, মারাঠি, হিন্দি, সংস্কৃত এবং ইংরেজি ভাষায় অনায়াসে কথা বলতে পারতেন।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন শিক্ষা সংস্থায় প্রশাসনিক পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি স্টাডিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট, দ্য ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ আমেরিকান স্টাডিজ, অল ইন্ডিয়া পলিটিক্যাল সাইন্স অ্যাসোসিয়েশন, দ্য ভান্ডারকর অরিয়েন্টাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, দ্য ইন্ডিয়ান সেকুলার সোসাইটি ইত্যাদি একাডেমিক সংস্থার সাথে নিযুক্ত ছিলেন। এমনকি তাকে ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ সোশ্যাল সাইন্স রিসার্চ এর সদস্য হিসাবে মনোনীত করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতেও তিনি পরিদর্শক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।এছাড়াও পুনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং বিদেশ নীতির উপর তিনটি বই এবং ১৭০ টি লেখা প্রকাশ করেছেন। তার লেখা বই গুলির মধ্যে বিখ্যাত ছিল ১৯৯০ সালে ‘পার্লামেন্ট এন্ড ফরেন পলিসি ইন ইন্ডিয়া’ এবং ২০০৩ সালে ‘রিস্ট্রাকচারিং এনভায়রনমেন্টাল গভর্নেন্স ইন এশিয়া–ইথিকস এন্ড পলিসি’ বই দুটি।
আরও পড়ুন- ‘ব্রক্ষ্মা জানেন গোপন কম্মটি’র সিকুয়াল, পৈতে ধারণ করল একরত্তি মেয়ে- https://thebengalichronicle.com/khardaha-girl-upanayana/