মমতার মাস্টারস্ট্রোক! বিজেপির দুই হেভিওয়েটই এবার তৃণমূলের বাজি

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন মিটতেই ফের পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের ( WB By Election 2022 )  দামামা বেজে গেল৷ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ১২ এপ্রিল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র এবং বালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ( WB By Election 2022 )   হবে৷ নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে ১৬ এপ্রিল৷ আর এরপরই বড় সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার ট্যুইট করে জানিয়ে দিলেন, আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে ( WB By Election 2022 )  দলের প্রার্থী হচ্ছেন শত্রুঘ্ন সিনহা আর বালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে ( WB By Election 2022 )   প্রার্থী করা হল বাবুল সুপ্রিয়কে (Babul Supriyo)। ট্য়ুইটে এই দুজনের নাম ঘোষণা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ”জয় হিন্দ, জয় বাংলা, জয় মা-মাটি-মানুষ।”

আসানসোলের বিজেপি সাংসদ ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু তিনি সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে ওই আসনে উপনির্বাচন ( WB By Election 2022 )  হচ্ছে৷ অন্য দিকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে বালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রও বিধায়কশূন্য অবস্থায় রয়েছে৷ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার সময় বাবুল বলেছিলেন, ”তিনি প্রথম এগারোয় খেলতে চান। কিন্তু বিজেপি-তে তা করা যাচ্ছে না।” এরপর থেকেই জল্পনা ছিল, বাবুলকে তবে কি রাজ্য মন্ত্রিসভায় আনতে চলেছে তৃণমূল? অবশেষে সেই সম্ভাবনাই জোরাল হল।

আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে ফের বাবুল সুপ্রিয়ই তৃণমূল প্রার্থী হবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল৷ পাশাপাশি, বিধানসভা নির্বাচন এবং তার পরে উপনির্বাচন, পুরভোটে তৃণমূলের বিপুল সাফল্যের পর আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র বিজেপি ধরে রাখতে পারে কি না, তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলের কৌতূহল তুঙ্গে৷ এই পরিস্থিতিতে আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী করে বড় চমক দিল তৃণমূল। অপরদিকে, বাবুলকেও যে এবার গুরুদায়িত্ব দেওয়া হবে, তাও স্পষ্ট।

কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ছত্তীসগড়, বিহার এবং মহারাষ্ট্রের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে ওই একই দিনে উপনির্বাচন হবে৷ আগামী ১৭ মার্চ এই সব উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে৷ মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৪ মার্চ৷ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৮ মার্চ৷

উপ নির্বাচনে ( WB By Election 2022 )   তৃণমূলের দুই তারকা প্রার্থী নিয়ে বিজেপি-র তরফে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ ছুড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, নিজেদের দলে যোগ্য প্রার্থী নেই বলেই বাইরে থেকে লোক এনে দাঁড় করাতে হচ্ছে জোড়াফুল শিবিরকে। বাবুল, শত্রুঘ্ন, দু’জনই প্রাক্তন বিজেপি নেতা। তাই বিজেপি-র থেকে তৃণমূলকে প্রার্থী ধার করতে বচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

কিন্তু বাবুলের সাফ বক্তব্য, “এ সবে কিছু যায় আসে না। যা বলছেন, বলছে দিন। শত্রুঘ্নকে যেখানেই যান, সেখানেই ভালবাসা পান। কিছু মানুষ রয়েছেন, এক স্টেশন ছেড়ে গেলে, কেউ চেনে না। আবার এমন অনেক মানুষ রয়েছেন, যাঁরা যেখানেই যান না কেন, বহিরাগত হিসেবে বিবেচিত হন না। শত্রুঘ্ন আসানসোল যাচ্ছেন। অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।” বাবুল আরও বলেন, “শত্রুঘ্ন এবং আমি, আমাদের দু’জনের কাহিনীই এক। একটা দল পুরোপুরি ব্যবহার করেছে আমাদের। যা পেয়েছি ওই দল থেকে, তার থেকে অনেক বেশি দিয়েছি। তা সত্ত্বেও আমাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। আসানসোল এক জন বিশেষ মানুষকে পাচ্ছে। দিদির অনুপ্রেরণায়, শত্রুঘ্নর হাত ধরে ওখানে অনেক কাজ হবে।”

তবে বালিগঞ্জে প্রার্থী হলেও, চিরকালই আসানসোলের জন্য তাঁর মনে বিশেষ জায়গা থাকবে বলে জানিয়েছেন বাবুল। তাঁর কথায়,  “আসানসোল চিরকাল আমার কাছে স্পেশাল ছিল, আছে থাকবে। দিদিকে ধন্যবাদ আমাদের সুযোগ দেওয়ার জন্য।” আসানসোবে শত্রুঘ্নর জন্য প্রচারেও যেতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বাবুল। এর পাশাপাশি বালিগঞ্জেও প্রচারের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। সেই নিয়ে দেবাশিস কুমারের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। বালিগঞ্জেও ‘খেলা হবে’, বললেন বাবুল।

আরও পড়ুন ফের চোখ রাঙানি করোনার! সংক্রমণ ছড়িয়ে করোনার নতুন ঢেউ

আরও পড়ুন কড়া নির্দেশ পান্ডিয়াকে, বিসিসিআই এর নির্দেশ অমান্য করলে আইপিএল খেলতে পারবেন না হার্দিক




Leave a Reply

Back to top button