২৫ বছরের বাচ্চা ! মনপ্রীতের rare diseases-এ থমকে গিয়েছে তার শারীরিক বৃদ্ধি

জীবনের প্রায় পঁচিশটি বসন্ত কেটে গেছে। তবুও মনপ্রীত সিং একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে জীবন উপভোগ করতে পারেননি। ২৫ বছর বয়সেও সে একজন ১ বছরের শিশুর মতো। বিরল একটি রোগে ( rare diseases )আক্রান্ত হওয়ায় মনপ্রীত এর বয়স বাড়লেও চেহারায় কোনও পরিবর্তন নেই।
মনপ্রীতের বয়স এখন কত
মনপ্রীতের বৃদ্ধি মাত্র ১১ মাস পরে থেমে যায়। এই কারণে, মনপ্রীত কথা বলাও শিখে উঠতে পারেনি ,কেননা কোনও স্বাভাবিক শিশুই ১১ মাসে কথা বলতে পারেনা। বয়স বাড়লেও , এই মানুষটি শারীরিকভাবে বড় হয়নি। দুঃখের কারণ এই যে তিনি একটি বিরল রোগে ভুগছেন বলে তার সঠিক চিকিৎসা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
“পিন্ট সাইজ ম্যান”
মনপ্রীত সিং ১৯৯৫ সালে ভারতের পাঞ্জাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার জন্মের পর প্রথম ১১ মাস তিনি আর পাঁচ জন শিশুর মতোই সুস্থ এবং স্বাভাবিক ছিলেন। কিন্তু তারপর সবটাই বদলে যায়। তার প্রতিবেশীরা মনপ্রীতকে “পিন্ট সাইজ ম্যান” বলে ডাকে। এখন মনপ্রীত তার কাকা এবং কাকিমার সাথে থাকেন। ডাক্তাররা তার বিরল রোগ নির্ণয়ের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। অবশেষে তারা জানান , মনপ্রীত একটি হরমোনজনিত সমস্যায় ভুগছেন।
মনপ্রীতের পরিবার
মনপ্রীতের বাবা ছিলেন একজন দরিদ্র কৃষক যিনি তার ছেলের জন্য উন্নত চিকিৎসা করাতে পারেননি। ডাক্তার এবং গবেষকরা এই বিরল ব্যাধি নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাদের মতে, মনপ্রীত ল্যারন সিনড্রোমে ভুগছেন। এই জেনেটিক ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত মানুষ গ্রোথ হরমোন ব্যবহার করতে অক্ষম। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই বিরল জেনেটিক ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মাত্র গোটা পৃথিবীতে মাত্র ৩০০। এই জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশই গ্রামীণ লোজা, ইকুয়েডরে বাস করে।
মনপ্রীতের দেহের বিবরণ
মনপ্রীতের পা ও মুখ বিশাল। তার ত্বক হলুদ। মনপ্রীত বিভিন্ন হাবভাবের মাধ্যমে অন্যদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। সে হাসতে পারে, চিৎকার করতে পারে এবং কাঁদতে পারে। কিন্তু কথা বলা অসম্ভব। শুধু কথা বলো কিন্তু, মা ইত্যাদি। এটা ভাল বলা হয়।
আরও পড়ুন : England News Viral : অনলাইনে ‘BUY NOW’ অপশনে ক্লিক, বাড়ি বসেই মা হলেন তরুণী