দৈহিক সম্পর্কে সম্মতির বয়স হবে ১৬ বছর! কেন্দ্রের কাছে মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট
১৮ বছর মানে প্রাপ্তবয়স্ক। ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার মেলে। যৌন সম্পর্কেরও।

১৮ বছর মানে প্রাপ্তবয়স্ক। ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার মেলে। যৌন সম্পর্কেরও। এটাই যৌন সম্পর্কে সম্মতির ন্যূনতম বয়স। কিন্তু এই বয়সের মাপকাঠি মানতে নারাজ অনেকেই। বিভিন্ন রাজ্য থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্টেও এই নিয়ে মামলা হয়েছে। এবার এই নিয়ে কেন্দ্র সরকারের মতামত জানতে চাইল শীর্ষ আদালত।
আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের কম বয়সে কোনও কিশোর কিশোরী যদি উভয়ের সম্মতিতে যৌন সম্পর্কে জড়ায় তাহলে তা ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হয়। কারণ আইনের চোখে অপ্রাপ্তবয়সস্কের সম্মতির কোনও মূল্য নেই। বিষয়টা পকসো আইনের আওতাধীন। এই আইন বদল চেয়েই সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়।
১৪ বছর বয়সে কৈশোর শেষ হয়। এই সময় থেকেই পরস্পরের প্রতি শারীরিক আকর্ষণ তৈরি হয়। ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন আরও কম বয়স থেকেই কিশোর-কিশোরীরা যৌনতা সম্পর্কে সচেতন। ফলে পরস্পরের সম্মতিতে মিলিত হলেও আইনের অপব্যবহার করে পুরুষকেই ধর্ষক বা অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তাই যৌনতায় সম্মতির বয়স নিয়ে এত মাথাব্যথা।
এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী হর্ষ বিভোর সিঙ্ঘল। তাঁর দাবি, ১৬ বছর বয়স থেকেই কোনও কিছু বিচার করার এবং তার কী ঝুঁকি রয়েছে বোঝার ক্ষমতা জন্মায়। একজন শারীরিক, জৈবিক, মনস্তাত্বিক এবং সামাজিক পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করতে পারে। তাই বয়স কমানো হোক।
কিন্তু যৌন সম্পর্কে সম্মতির ন্যূনতম বয়স কত হওয়া উচিত? ১৬ নাকি ১৮? নাকি এর চেয়ে কম বা বেশি। এই প্রসঙ্গেই কেন্দ্র, জাতীয় মহিলা কমিশন-সহ একাধিক কর্তৃপক্ষের তাঁদের মতামত জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত।