ধিক্কারজনক! টানা ৫ বছর ধরে দাদু-বাবা-দাদা-কাকার যৌন লালসার শিকার একরত্তি

মান আর হুঁশ নিয়ে মানুষ, এটা তো আমাদের সকলেরই জানা। তবে সাম্প্রতিক কালে বারবার বদলে গিয়েছে সেই সংজ্ঞাটা। মনুষ্য জাতির প্রতিনিধিরা এমনক কিছু কাণ্ড কারখানা ঘটিয়েছে, যা হিংস্রতায়, পাশবিকতায় বা বর্বরতাই বন্য পশুদেরও হার মানিয়েছে। বিশ্বায়নের ফলে দ্রুত সমাজের অগ্রগতি হচ্ছে ঠিকই, তবে মানুষের কুৎসিত ধ্যানধারণা কিছুতেই বদল হচ্ছে না। এমন কিছু ঘটনা মাঝেমধ্যেই সামনে চলে আসে, যাতে মনুষ্য জাতির প্রতিনিধি হিসেবে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায়। মহারাষ্ট্রের পুনের (Pune Rape Case) এমনই এক পাশবিক ঘটনার কথা সামনে এসেছে।

বাড়িতেই খুলে বসা হয়েছিল অপরাধের কারখানা। মেয়েরা যখন নিজেদের পরিবারের কাছেই সুরক্ষিত নয়, তখন সেটা চরম লজ্জার বিষয়। সম্প্রতি এক ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুনের (Minor Girl Raped) ১১ বছরের নাবালিকাকে হতে হল নিজের পরিবারের কাছেই নির্যাতিত। শনিবার এই ঘটনায় সামনে আনে পুণের পুলিশ।

প্রতিদিন সংবাদ মাধ্যমে চোখ রাখলেই ধর্ষণের খবর পাওয়া যাবেই। এই ঘটনা দেশে দিনে দিনে বেড়েই চলছে। এক এক সময় এমন কিছু ঘটে তা লজ্জাজনক বললেও ভুল বলা হবে। ছোট হবে একাধিক স্নেহের সম্পর্ক। ঠিক তেমননি একটি ঘটনা ঘটেছে। একটি নাবালিকা মেয়েকে তার কিশোর ভাই এবং বাবার দ্বারা পৃথক ভাবে ধর্ষণের (Pune Rape Case)  অভিযোগ উঠেছে। শুধু বাবা বা ভাই নয় দুঃসম্পর্কের কাকু ও দাদু মিলেও নাবালিকা কন্যার শ্লীলতাহানি করেছে বলে অভিযোগ।

জানা গিয়েছে নিজের বাবা ও দাদার কাছে দীর্ঘ পাঁচ (Minor Girl Raped) বছর ধরে ধর্ষণের শিকার ১১ বছরের নাবালিকা। তার বয়স যখন মাত্র ৬ বছর সেই বয়স থেকেই মেয়েটির নিজের বাবা এবং দাদা বাড়িতেই নিয়মিত ধর্ষণ করেছে। এমনকি নাবালিকার দাদু এবং দূরের সম্পর্কের কাকু নিয়মিত শ্লীলতাহানিও করত মেয়েটির। কিন্তু পাঁচ বছর ধরে সামনে আসেনি এই ঘটনা। অবশেষে শনিবার পুণের পুলিশ গোটা ঘটনা সামনে আনে।

পুনে পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা বিহারের বাসিন্দা। বর্তমানে তারা সকলে পুনেতে থাকেন। “ওই কিশোরীকে স্কুলে যখন যৌন শিক্ষার পাঠ দেওয়া হয় তখন সে বিষয়টি বুঝতে পারে। তখনই তাঁর ওপর চলে আসা পাঁচ বছরের নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।” জানিয়েছেন থানার ইনস্পেক্টর অশ্বিনী সতপুটে। পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে ওই তরুণীকে যৌন নিগ্রহ করতে শুরু করেন তাঁর বাবা। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২০ সাল থেকে ওই কিশোরীর দাদা তাঁকে ধর্ষণ করতে শুরু করে। তাঁর দাদু ও দূর সম্পর্কের কাকুরাও তাঁকে অশ্লীলভাবে ছুঁত। পুলিশ জানিয়েছে, এটা কোনও গণধর্ষণের ঘটনা নয়, আলাদাভাবেই ওই কিশোরীকে হেনস্থা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড বিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্তা। ওই কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের প্রতি ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে আধিকারিকরা জানিয়েছেনস এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ১১ বছর বয়সী ওই কিশোরীর ৪৫ বছর বয়সী বাবা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড বিধির ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। ওই কিশোরীকে এখন পুনের থানায় রাখা হয়েছে। ওই কিশোরীর দাদু ও দূর সম্পর্কের কাকুর বিরুদ্ধে ৩৫৪ ধারায় হেনস্থা ও একমহিলার সম্মান হননের অপরাধমূলক চেষ্টার মামলা রুজু হয়েছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ। 

আরও পড়ুন তুমি শশী হে! স্মৃতির কোলাজে ম্যানারিজম কিং

আরও পড়ুন রাশিয়া-‌ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত ছাত্র নবীন, মৃতদেহ বিজ্ঞানকে দান পরিবারের




Leave a Reply

Back to top button