বাংলার মাটিতে দুর্বল হচ্ছে আরএসএস, তালা বন্ধ শতাধিক শাখা

সাল ১৯২৫, অবিভক্ত ভারতের মাটিতে হিন্দু ও হিন্দুত্বের প্রভাব বিস্তার করতে তৈরি হয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। সেকাল থেকে একাল ভারতের মাটিতে নানা রাজনৈতিক ( RSS ) উত্থান পতনের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয় তাঁরা। তবে ভারতের অন্য রাজ্যগুলির মতো বাংলা কখনই সংঘ পরিবারের জন্য উর্বর জমি ছিল না। তবে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে সংগঠন কিছুটা বাড়লেও করোনা পরবর্তী সময়ে ফের ধাক্কা খেয়েছে আরএসএস-এর ( RSS ) কাঠামো। আরএসএস সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পরবর্তীকালে সংঘের অন্তত আটশো শাখা পুরোপুরি হয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট খোদ আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত।
উল্লেখ্য, আরএসএস সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পূর্ববর্তী সময়ে রাজ্যে সংঘের ২২০০টি সক্রিয় শাখা ছিল। এই শাখাগুলিতে নিয়মিত সংঘসেবকরা ( RSS ) মিলিত হতেন, কসরত করতেন, নানা বিষয়ে আলোচনা করতেন। কিন্তু মহামারি পরিস্থিতিতে এই সব কিছু তছনছ হয়ে যায়। করোনা পরিস্থিতি মেটার পর গত বছর নভেম্বর মাস থেকে সংঘের ( RSS ) নেতারা জেলায় জেলায় গিয়ে শাখাগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও আটশোর বেশি সক্রিয় শাখা পুনরায় গঠন করা সম্ভব হয়নি।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে যে সাড়ে ৯০০ শাখা ছিল তার মধ্যে প্রায় সাড়ে তিনশো বন্ধ। মধ্যবঙ্গেও আরএসএসের শ’চারেকের বেশি শাখা নতুন করে চালু করা যায়নি। তবে বঙ্গের ( RSS ) বাকি অংশগুলির তুলনায় উত্তরবঙ্গে ছবিটা আশাপ্রদ। সেখানে অধিকাংশ শাখাই ফের চালু করতে পেরেছেন সংঘ নেতারা। তবে সার্বিকভাবে ছবিটা আরএসএস-এর ( RSS ) জন্য বেশ উদ্বেগের। এমতাবস্থায় সংঘ প্রধান মোহন ভগবত বিষয়টি নিয়ে মৃদু অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এবং মার্চের আগেই সাংগঠনিক কাঠামোকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন…..Pushpa Vs Bahubali: ‘অমরেন্দ্র বাহুবলী’ ‘ঝুকেগা নেহি এই পুস্পা’- লড়াইয়ে মুখোমুখি প্রভাস-আল্লু অর্জুন
অবশ্য এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, রাজ্যে বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং অন্তর্কলহের প্রভাব সরাসরি পড়ছে সংঘের ( RSS ) সাংগঠনিক কাঠামোতেও। রাজ্যে বিজেপির দুর্বলতার সমানুপাতিক হারে দুর্বল হচ্ছে সংঘও। যদিও তা মানতে নারাজ আরএসএস।