National Science Day : আজ রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান দিবস, জেনে নিন এই দিনের ইতিহাস

অহেলিকা দও, কলকাতা : ১০ নভেম্বর বিশ্ব বিজ্ঞান দিবস হিসেবে পালন করে গোটা বিশ্ব। তবে ভারতে প্রতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি পালন করা হয় ন্যাশনাল সায়েন্স ডে বা রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান দিবস ( National Science Day)। ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী সি. ভি. রামন (C.V. Raman)। ১৯২৮ সালে তাঁর আবিষ্কৃত ‘রামন এফেক্ট’ ( Raman effect)-কে চিরস্মরণীয় রাখতে এই দিনটিতে পালিত হয় রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান দিবস ( National Science Day)। স্পেক্ট্রোস্কোপিতে ( spectroscopy) সৃষ্টি এই আবিষ্কারের কারণে ১৯৩০ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে ( physics) তিনি নোবেল পুরস্কার ( Nobel Prize) জেতেন।
কলকাতার ( kolkata) ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশান ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্সে ( Indian Association for the Cultivation of Science) গবেষণা করার সময় এই রামন এফেক্ট ( Raman effect) আবিষ্কার করেন তিনি। জেনে নিন রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান দিবসের কিছু তথ্য যা প্রত্যেক পড়ুয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ( importance)।
‘রামন এফেক্ট’
১৯২১ সালে সি. ভি. রামন (C.V. Raman) লন্ডন থেকে দেশে ফিরে ছিলেন। ফেরার পথে তিনি দেখলেন জলের রং নীল। তিনি শুধু জানতেন আকাশের রং নীল। তবে কেন জলের রংও নীল দেখায়? এই ভাবনা থেকেই তার গবেষণা শুরু। এই গবেষণা থেকেই তিনি আবিষ্কার করেন ‘রামন এফেক্ট’ ( Raman effect)। অনেক গবেষণার পর অবশেষে ১৯২৮ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি এই সূত্র আবিষ্কার করেন তিনি। ১৬ মার্চ এই সূত্র প্রকাশ করেন তিনি। এই সূত্রের মূল কথা, “পদার্থের বিভিন্ন অণুপরমাণুই সেই পদার্থের বর্ণের প্রতিফলনের জন্য দায়ি, তা সে জল, মাটি, আকাশ বা যা কিছুই হোক না কেন। কোন বস্তুকে কী রঙের দেখাবে তা তার ওপরই নির্ভর করে।”
ভারত রত্ন
১৯৫৪ সালে সিভি রামনকে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান এবং ভারত রত্নে ভূষিত করা হয়। এই রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান ( National Science Day) দিবসের প্রধান উদ্দেশ্য মানুষকে বিজ্ঞানের গুরুত্ব বোঝানো।
রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান দিবস
১৯৮৬ সালে ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কমিউনিকেশন’ ( National Council for Science and Technology Communication) এই দিনটিকে রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান দিবস ( National Science Day) হিসেবে ধার্য করে। এরপর থেকে ১৯৮৭ সাল থেকে প্রতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি এই দিনটিতেই পালন করা হয় রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান দিবস ( National Science Day)। দেশের তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞানের দিকে আকৃষ্ট করার জন্য এই দিনটি পালন করা হয়।
রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান দিবসের থিম
প্রতি বছরই এই দিনটির একটি থিম ( theme) থাকে। এই বছরের থিমটি হলো “সইন্টিগ্রেটেড অ্যাপ্রোচ ইন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ফর সাসটেইনেবেল ফিউচার” ( Integrated Approach in Science and Technology for Sustainable Future)।
রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান দিবস উদযাপন
দেশের বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান ও রিসার্চ ল্যাবরেটরিগুলিতে ( library) এই দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করা হয়। এছাড়াও ভাষণ, রেডিও ও টেলিভিশন প্রোগ্রাম, বিজ্ঞানের সিনেমা, বিজ্ঞান প্রদর্শনী ও ডিবেট ও কুইজের মাধ্যমে এই দিনটি ( National Science Day) উদযাপন করা হয়।