Netaji Subhash Chandra Bose : বাংলায় যোজনা কমিশন ফেরাচ্ছেন মমতা, নেতাজি-মূর্তির সামনেই মোদীকে টিপ্পনি

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আজ ১২৫তম জন্ম জয়ন্তী( Netaji Subhash Chandra Bose )। সেই উপলক্ষ্যে আজ ময়দানে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তির পাদদেশে মাল্যদান করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরাও।
Netaji Subhash Chandra Bose – এর উদ্যেশ্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
বীর দেশ নায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্মৃতির উদ্যেশে তিনি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনও করেন। ঘড়িতে যখন বেলা সওয়া বারোটা তখন বীর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মক্ষণে বেজে উঠেছিল সাইরেন। ঠিক সেই সময় দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে শঙ্খ বাজাতে। শঙ্খপর্ব শেষে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিতে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন। তার পর একে একে নেতাজির মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন নেতাজি পরিবারের সদস্যরা সহ আগত অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্গরা।
Netaji Subhash Chandra Bose- এর উদ্যেশ্যে গান
পাশাপাশি পুষ্পার্ঘ নিবেদনের সময় মঞ্চে নেতাজির গান করেন নেতাজি পরিবারেরই সদস্য সুগত বসু এবং তাঁর ভাই। পুষ্পার্ঘ অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর উদ্যেশে, তাঁর কর্মকাণ্ডের উদ্যেশে বক্তৃতা রাখেন।যেখানে তিনি বলেন ‘‘নেতাজি শুধু বাংলার নন, তিনি দেশের, তিনি গোটা বিশ্বের।’’
মুখ্যমন্ত্রীর যোজনা কমিশনের ঘোষনা
এছাড়া পাশাপাশি বাংলায় যোজনা কমিশন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নেতাজি যোজনা কমিশন নাম হবে তার। যদিও নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পরই এই কমিশন তুলে দিয়ে নীতি আরোপ করা হয়। আজ তিনি এই নিয়ে মুখ খোলেন। এবং তীব্র নিন্দা জানান। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তকে লজ্জা বলেও অভিহিত করেন।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী বলেন প্রত্যেকটি স্কুলে এবং কলেজে এনসিসি-র আদল কে মাথায় রেখে জয় হিন্দ বাহিনী গড়ে তোলা হবে। নেতাজির নামে রাজ্যে আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি বলেন,” ইচ্ছে ছিল নেতাজির জন্মদিবসে পদযাত্রা করার, কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সেই পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ টিপ্পনি
মোদী সরকারের নাম উল্লেখ না করে মুখ্যমন্ত্রীর টিপ্পনি করে বলেন, ‘‘যাঁরা ধর্মের নামে দেশ ভাগ করতে চাইছেন, তাঁদের বলব দয়া করে নেতাজি, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ পড়ে দেখুন। ভাগাভাগি করে, দেশভাগ করে জাতীয়তাবাদ দেখানো যায় না।’’ এছাড়াও মমতা বন্দোাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি চাই গাঁধীজি কাকে বেশি ভালবাসতেন, তা নিয়ে বিতর্ক হোক। স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে পড়ানো হোক দেশপ্রেমের ইতিহাস।’’পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘একটা অমর জ্যোতি নিভিয়ে দিয়ে, নেতাজির মূর্তি বসিয়ে সুভাষকে শ্রদ্ধা জানানো যায় না।’’তিনি আরও বলেন, ‘‘কেন এত দিন নেতাজির মূর্তি তৈরি হল না। এখন ওখানে মূর্তি বসিয়েছেন আমাদের চাপেই।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কেন বাতিল হল নেতাজির ট্যাবলো? বাংলাকে কেন পদে পদে এত অবজ্ঞা?’’