Netaji Subhash Chandra Bose : গায়ে কাঁটা দেওয়া এক গল্প, ভারতের কাছে আজও পরাজিত চীন

অহেলিকা দও, কলকাতা: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ( India’s freedom struggle) ইতিহাসে এক স্মরণীয় অসামান্য নেতা ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ( Netaji Subhash Chandra Bose)। গোটা ভারতবাসীর “বাংলার বাঘ” তিনি। এমনকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ( Rabindranath Tagore) তাকে বলতেন “দেশ নায়ক”। আজ এই অসামান্য ব্যাক্তির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী ( 125th Birth Anniversary)। তিনি ছিলেন বামপন্থী মনোভাবাপন্ন ( Leftist minded) মানুষ।
২০২০ সালে ভারত ( India) এবং জাপানের ( Japan) মতো শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর জমি অন্যায়ভাবে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল চীন ( china)। বিগত দুই বছর ধরেই সমস্ত দেশের শক্তির সাথে চীনের শক্তির তুলনার করার চর্চা চলছে। কিন্তু একটি অসামান্য কাজ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ( Netaji Subhash Chandra Bose) করেছিলেন যার কারণে আজও ভারতের ভয়ে চীন কাঁপে।
Netaji Subhash Chandra Bose – সামুদ্রিক ক্ষেত্রে শক্তিশালী ভারত
বর্তমান যুদ্ধে জয়লাভ করার জন্য সামুদ্রিক ক্ষেত্রে শক্তিশালী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সেইদিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে ভারত। কারণ ভারতের নৌসেনা এতটাই শক্তিশালী যে চীনকে টেক্কা দিতে তারা যথেষ্ট সক্ষম। এই শক্তিশালী হওয়ার পিছনে রয়েছে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। এই কারণেই চীন সমঝে চলে ভারতকে। তবে সীমান্তের একাধিক জায়গায় আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে চীনের লাল ফৌজ। আন্দামান নিকোবার দ্বীপপুঞ্জের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করেন কূটনীতিক ও সামরিকবিদরা। এই দ্বীপপুঞ্জের খুব কাছ থেকেই ভারত মহাসাগরের মধ্যে দিয়ে জ্বালানি তেল আমদানি করে চীন। চীন চাইছে খুব দ্রুত ভারত মহাসাগরের উপকূলে নিজেদের খুঁটি পুততে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ( Netaji Subhash Chandra Bose) বুঝেছিলেন আন্দামান নিকোবার দ্বীপপুঞ্জের সাহায্যে চীনকে শিক্ষা দেওয়া যায়।
আরও পড়ুন- https://thebengalichronicle.com/bangla-pokkho-demanding-bengali-regiment-in-indian-army/
Netaji Subhash Chandra Bose – আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ পূনরায় দখল
অখণ্ড ভারতের প্রধানমন্ত্রী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ( Netaji Subhash Chandra Bose) ৭৮ বছর আগে জাপানি সেনাবাহিনীর সাহায্যে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে ইংরেজদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। এই একটি মাত্র কাজেই নিজের প্রতিপত্তি বিস্তারে চরম ধাক্কা দেয় চীনকে। পরে পর্তুগিজরা এই দ্বীপে আধিপত্য বিস্তার করেছিল। এরপর ভারতে মারাঠা সাম্রাজ্য বিস্তার হলে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে নৌসেনার বেস ক্যাম্প স্থাপন করেন। এর পরবর্তী সময়ে ইংরেজরা পূনরায় আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ দখল করেছিল। এরপর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ বাহিনী চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
Netaji Subhash Chandra Bose – আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারতের পতাকা উত্তোলন
১৯৪৩ সালের ৩০ ডিসেম্বরে ইংরেজদের কাছ থেকে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ছিনিয়ে নিয়ে সেখানকার মাটিতে ভারতের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ( Netaji Subhash Chandra Bose)। যার কারণে আজও এই এলাকায় ভারত শক্তিশালী জায়গা হিসেবে চিহ্নিত। এই আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কারণে সামুদ্রিক এলাকায় ভারতকে ভয় পায় চীন। চীন স্টেট অফ মালাক্কা দিয়ে নিজের ৮০শতাংশ সামগ্রী আমদানি রপ্তানি করে। আর আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ভারতের অংশ হওয়ার কারণে যেকোনো সময় চীনের জাহাজ আটকাতে সক্ষম। কোনোভাবেই আমদানি রপ্তানি বন্ধ হয়ে চীন সমস্যার মুখোমুখি হতে চাননা। ১৯৬২ সালেও ভারত এই সূযোগ কাজে লাগাতে পারতো কিন্তু ভারত সরকারের নেতৃত্বে তা হয়ে ওঠেনি।
আরও পড়ুন- https://thebengalichronicle.com/netaji-subhas-chandra-bose-goes-viral-in-his-birthday/