মৃত্যুর পরও নিজ দায়িত্ব থেকে অনড়, রোগীকে অঙ্গ দান করে গেলেন এই নার্স

চলে গেলেন কর্ণাটকের ( Karnataka ) ২২ বছরের এক যুবতী নার্স। এই বয়সে জনসেবায় নিযুক্ত এই প্রাণের তিরোধান হলেও রোগীদের জন্য তিনি রেখে গেলে জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার। কর্ণাটকের ( Karnataka ) চিকমাগালুর জেলার শিবমগ্গায় হোসাকোপ্পা গ্রামে নির্মলা নার্সিংহোমে হঠাৎই রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ নাইট শিফটে কাজ করবার সময় অজ্ঞান হয়ে পড়েন গানভী টিকে।

যত দ্রুত সম্ভব নিকটবর্তী এন. আর. পুরার নানজাপ্পা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে তৎক্ষণাৎই ( Karnataka ) । যেখানে তিনিই কাজ করেছেন আগেও। পরে পরিস্থিতির অবনতি হলে তাকে সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ স্থানান্তরিত করা হয় ব্যাঙ্গালোরের ( Karnataka ) পি.এম.এস.এস.ওয়াই হাসপাতলে। সেখানেই ১২ ফেব্রুয়ারি ব্রেন ডেড বলে ঘোষণা করেন হাসপাতালের বিশেষ চিকিৎসকেরা।

তবে মৃত্যুর পর তার অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন তার পরিবারের মা, বোন ও কাকা। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাই তাকে স্থানান্তরিত করা হয় ইনস্টিটিউট অফ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সায়েন্সেস অ্যান্ড অর্গান হাসপাতলে ( Karnataka ) । তার পরিবারের এই মহান উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে. সুধাকর ( Karnataka ) । সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, বেঁচে থাকাকালীন রোগীদের যথেষ্ট যত্ন নিয়েছে গানভী এবং মৃত্যুর পরেও তাই রোগীদের জন্য রেখে গেলেন তার অমূল্য অঙ্গগুলি।

আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান, শীঘ্রই মুক্তি পাচ্ছে রোমহর্ষক সিরিজ ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যানের’ তৃতীয় পর্ব

গানভীর মত মানবপ্রেমী নার্সের অকালমৃত্যু যে কর্ণাটক ( Karnataka ) তথা গোটা ভারতেরই চিকিৎসা জগতের বড় ক্ষতি তা মানছেন চিকিৎসকরা। ভারতে চলা এই করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে তার মতন দায়িত্বশীল নার্সের হাত ধরেই সেরে উঠেছে এই দেশের কোটি কোটি মানুষের রোগ, আশা, বিশ্বাস ও ভরসা। মৃত্যুর কারণ এখনও অজানা হলেও মহামারীর চলাকালীন স্বাস্থ্য ও মানসিক চাপ তার কারণ হতে পারে।

এরকমই অসংখ্য নার্স ডাক্তার সেবা করে চলেছে অসংখ্য মানুষের ক্রমাগত। সবাই হয়তো পায় না সংবাদ জগতের এই নামডাক, কিন্তু জনসেবা ও মানবসেবায় তাঁদের এই অকারত ভূমিকা কিন্তু চিরস্মরণীয়। যেমন স্বামীজি বলে গিয়েছিলেন বহুদিন আগে, “জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর!”

আরও পড়ুন: Latest Bollywood Gossip : গুজবে কান দেবেন না , জানালেন বনি কাপুর

মৃতার পরিবার তার এই আকস্মিক অকাল মৃত্যুতে শোকাহত হয়েও এই দুর্লভ ও সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ও যথেষ্ট নজরকাড়া। তবে অঙ্গদান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই করা অবশ্যম্ভাবী, না হলে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মৃতের পরিবার তার চোখ, হৃদপিণ্ড, লিভার এবং কিডনি বিনামূল্যে দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা অবশ্যই বহু রোগীকে নতুন জীবন দিতে ব্যাপক সাহায্য করবে ভবিষ্যতে।




Leave a Reply

Back to top button