Online Education : অনলাইন ক্লাস করতে দিতে নারাজ অভিভাবক, অভিমানে আত্মঘাতী কলেজ পড়ুয়া

রাখী পোদ্দার, কলকাতা : করোনা ( corona) মহামারীর ধাক্কায় বেশ কয়েক মাস ধরে স্কুল ( School) কলেজ ( College) বন্ধ থাকায় শিক্ষা ব্যবস্থার নতুন দিক হিসেবে অনলাইন শিক্ষা ( online classes) ব্যবস্থাকেই বেঁছে নিতে হয়েছিল মানুষকে। আর এই নতুন শিক্ষা ব্যবস্থায় অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন বহু পড়ুয়ারা। আর এই অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় অভ্যস্ত এক পড়ুয়া ফের অফলাইন ক্লাস ( Offline Class) হওয়া মানতে না পারায় অভিমানে শেষ করে দেয় নিজের জীবন। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের ( Andhra Pradesh) বিজয়নগরমের ( Vijayanagaram) কোন্ডাপল্লি ( Kondapalli) এলাকায়। কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় কলেজ খোলার পরেও সেই অভ্যাস চালিয়ে যেতে চাইছিলেন মণীষা অঞ্জু ( Manisha Anju) নামে ওই কলেজ ছাত্রী। কিন্তু অভিভাবকেরা বাধা দেওয়ায় অভিমানে আত্মঘাতী হন ওই কলেজ ছাত্রী।

Online Education

 

Online Education : অভিমানে আত্মঘাতী –

শ্রীকাকুলামের ( Srikakulam) ‘রাজীব গাঁধী ইউনিভার্সিটি অফ নলেজ টেকনোলজিস’ ( Rajiv Gandhi University of Knowledge Technologies)-এর প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন মণীষা অঞ্জু। পুলিশ সূত্রে খবর গত বুধবার অঞ্জুর হোস্টেলের ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন পুলিশ। তদন্তের পর পুলিশ এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে জানিয়েছে। অঞ্জুর ঘর তালাবদ্ধ দেখে হোস্টেলের অন্যান্য মেয়েদের সন্দেহ হওয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানায় তারা। এরপর দরজা ভেঙ্গে কর্মকর্তারা তাকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। রিপোর্ট অনুযায়ী, মনীষা অঞ্জুর ( Manisha Anju) ইচ্ছার বিরুদ্ধে অফলাইন ক্লাসে যোগ দিতে তাঁর বাবা-মা তাঁকে বাধ্য করায় এই রকম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন…..বিয়ের অনুষ্ঠানে মাঝেই বিপত্তি, কুয়োয় পড়ে মৃত্যু ১ বছরের শিশু সহ ১৩ জনের

আরও পড়ুন…..রানু মন্ডলের পথে বাদাম কাকু, সংবাদমাধ্যমের সামনেই নিজেকে সেলেব্রিটি ঘোষণা

কোভিড কেস ( Covid Case) কমতে শুরু করায় কলেজ খোলার পর কর্তৃপক্ষের তরফে পড়ুয়াদের জানানো হয়, যে তারা অনলাইন ক্লাস চালিয়ে যেতে পারে অথবা  অফলাইন ক্লাসেও যোগ দিতে পারে। পুলিশ সূত্রের খবর, অঞ্জু অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে যেতে চাইলেও অভিভাবকেরা জোর করে কলেজে হোস্টেলে পাঠিয়েছিলেন তাঁকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে ফোন ছুড়ে ফেলে দেওয়ায় নতুন ফোন পুনরায় কিনে দেয় অঞ্জুর বাবা মা। এরপরও অভিমানে আত্মঘাতী ( Suicide) হন এই কলেজ পড়ুয়া।




Leave a Reply

Back to top button