Paray Sikhshalaya: ‘ ক্লাসরুমে করোনা আছে মাঠে নেই ‘, সন্তানদের এই আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় বিক্ষুব্ধ অভিভাবক

সোমবার থেকে শুরু হয়েছে গিয়েছে পাড়ায় শিক্ষালয়।এই কর্মসূচি অনুযায়ী, পড়ুয়ারা স্কুলে যাবে না, বরং শিক্ষক-শিক্ষিকারাই পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে কোনো খোলা জায়গায় ক্লাস করাবেন। প্রথম দিনে এই কর্মসূচি ভালো সাড়া পেলেও দিন গড়ালে উঠে এসেছে অনেক সমস্যা। যেমন কোথাও মাথায় সেড নেই, কোথাও বা পুরোপুরি খোলা জায়গায় বাচ্চাদের ক্লাস করানো হচ্ছে। রোদে জলে এভাবে ছোটদের ক্লাস করানোর পদ্ধতি নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ অসন্তোষ অভিভাবকরা। সাথে অনেক সমস্যার কথা জানিয়েছেন শিক্ষকরাও এই নয়া পদ্ধতি নিয়ে। পাড়ায় শিক্ষালয়ের দিন কয়েক আগেই শুরু হয়েছে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস। এইক্লাস নেওয়া হচ্ছে ক্লাসঘরেই( Paray Sikhshalaya )।
প্রকল্পের সবরকমের শর্ত মানতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়েছে বহু স্কুল
এই প্রকল্পের সবরকমের শর্ত মানতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়েছে বহু স্কুল( Paray Sikhshalaya )। পাড়ায় গিয়ে লেখাপড়া চললেও মিড-ডে মিল খাওয়ানো নিয়ে নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বহু স্কুল সিদ্ধান্ত নেন স্কুল চত্বরের খোলা জায়গায় বসিয়ে পড়ুয়াদের ক্লাস। কিছু স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন খোলা জায়গায় ক্লাস করানো উপযুক্ত হলেও পর্যাপ্ত পানীয় জল আর শৌচালয় নেই। এছাড়াও গোটা পদ্ধতি নিয়ে ক্ষুব্ধ অভিভাবকের একাংশ।
এ প্রকল্প নিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের অভিমত
এ বিষয়ে কিছু শিক্ষক শিক্ষিকাদের বক্তব্য উঠে এসেছে এই প্রকল্পের পরিপ্রেক্ষিতে। ক্যানিং ১ ব্লকের বাসিন্দা সুজিত সরকার, নমিতা দাসদের প্রশ্ন এসমস্ত আবার কেমন নিয়ম! স্কুলে যাচ্ছে অথচ ক্লাসরুমের বদলে মাঠে ক্লাস করতে হচ্ছে । নমিতা জানান, ”মাঠেঘাটে কখনও পড়ায় মন বসে না। তা ছাড়া, পড়া শুনতেও অসুবিধা হয়। ক্লাসরুম খুলে দিলেই তো হয়।” ক্যানিং ১ বিডিও শুভঙ্কর দাস জানান, ” সরকারি নির্দেশ মেনেই ক্যানিংয়ের ২৩৭টি স্কুলে পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচি চলছে। বেশিরভাগ জায়গায় গ্রামে গ্রামে গিয়ে ক্লাস করছেন শিক্ষকেরা। যেখানে পড়ুয়াদের জন্য উপযুক্ত জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না, সেখানেই স্কুল চত্বরে ক্লাস চলছে। তবে ব্লক প্রশাসনের তরফে পড়ুয়াদের বসার জন্য প্লাস্টিক, ছাউনির জন্য ত্রিপলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।” এ বিষয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শক সুজিতকুমার হাইত বলেছেন, ”নিচু ক্লাসের পড়ুয়াদের শ্রেণিঘরে বসিয়ে ক্লাস করানোর নির্দেশ নেই। আপাতত এ ভাবেই চলবে পড়াশোনা। সরকারি নির্দেশের বাইরে গিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।”
আরও পড়ুন ফের একবার সাত পাকে Madan Mitra, লাখ টাকার পাঞ্জাবি পরে বসলেন দ্বিতীয় বিয়ের পিঁড়িতে