Republic Day 2022 : সচক্ষে দেখা যাবে প্যারেড, টিকিট পাবেন হাতের কাছেই

রিমা শিয়ালী, কলকাতা: আগামীকাল ২৬ শে জানুয়ারি। স্বাধীন ভারতবর্ষে ১৯৫০ সালের ২৬ শে জানুয়ারি থেকেই প্রজাতন্ত্র দিবস ( Republic day 2022) পালন করা শুরু হয়। কেননা এই দিনেই ভারতীয় সংবিধান(Indian constitution) কার্যকর হয়েছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে সার্বভৌম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল ভারত। সেই দিন থেকেই এখনো সমস্ত দেশের মানুষ অত্যন্ত আনন্দ, উল্লাস এবং উদ্দীপনার সাথে এই দিনটিকে পালন করে চলেছে। চোখের নিমেষেই প্রজাতন্ত্র দিবস এখন দোর গোড়ায়। এই বছর ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবস (73rd republic day)পালিত হবে গোটা দেশে। কিন্তু এখানেই ওঠে প্রশ্ন।কোভিড পরিস্থিতিতে(covid 19) গোটা দেশে কিভাবে উদযাপিত হবে প্রজাতন্ত্র দিবস ( Republic day 2022)? আর কীভাবেই বা নয়াদিল্লিতে(new Delhi) আয়োজিত হবে প্রজাতন্ত্র দিবসের সবথেকে বড় চমক?
Republic day 2022- কুচকাওয়াজে ভাসবে দিল্লি
আয়োজিত নয়াদিল্লিতে। রাজপথে অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট(India gate) পর্যন্ত মোট আট কিলোমিটার পথে জাঁকজমকপূর্ণ কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করে ভারতীয় সেনার(Indian army) বিভিন্ন স্তরের বাহিনী। এছাড়াও বায়ু সেনাবাহিনী (air force)পরিচালিত বেশকিছু এয়ার শো এই দিনে প্রদর্শন করা হয়। রাজ্য ও কেন্দ্রে বিভিন্ন মন্ত্রকের ট্যাবলো ও প্রদর্শিত হয়।
Republic day 2022- কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ
কোভিডের পূর্ববর্তী সময়ে অর্থাৎ ২০২০ সালের আগে প্রজাতন্ত্র দিবসের ( Republic day 2022) এই কুচকাওয়াজ দেখতে রাজপথে অন্তত ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষ পতাকা হাতে জমায়েত করতো। কিন্তু ২০২১ সালে করোনাকালীন পরিস্থিতিতে দর্শকের উপস্থিতির সংখ্যা ১ লক্ষ ২৫ হাজার থেকে কমে ২৫ হাজরে দাঁড়িয়েছিল। এ বছরের শুরুতে শোনা যাচ্ছিল সামরিক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী মিলিয়ে মাত্র ৫০০০ থেকে ৮০০০ জন দর্শকই উপস্থিত থাকতে পারবে এই প্যারেডে। এই বিষয়ে এক শীর্ষ কর্মকর্তা থেকে জানা গিয়েছিল যে এই দর্শকসংখ্যা এখনো নির্ধারিত না হলেও এর থেকে বেশী আর হবেনা। অর্থাৎ দর্শক সংখ্যা ৫০০০ থেকে ৮০০০ এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে শেষ পর্যন্ত ঠিক হয় আনুমানিক ২৪০০০ জন মানুষকে দেওয়া হবে এই কুচকাওয়াজে যোগদানের অনুমতি।
আরও পড়ুন-
Republic Day 2022 – টিকিট হাতের কাছেই
প্রজাতন্ত্র দিবসের ( Republic day 2022) কুচকাওয়াজ দেখার জন্য সরকারের তরফ থেকে বেশ কিছু মানুষকে বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জানা গেছে এই বিশেষ আমন্ত্রিত হলেন তারাই যারা নিজেদের কাজের জন্য প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ পান না। এই অতিথিদের মধ্যে থাকবেন স্বাস্থ্যকর্মী, অটোচালক এবং সাফাই কর্মীদের মত মানুষরা। আমন্ত্রিত মানুষ বাদে বাকি দের অনুষ্ঠান দেখার জন্য কিনতে হবে টিকিট। নয়াদিল্লির বিভিন্ন জায়গায় কিনতে পাওয়া যায় এই টিকিট। তবে টিকিট কিনতে প্রয়োজন হয় বেশ কিছু জিনিসের।
সাধারণত ৭ ই জানুয়ারি থেকেই এই কুচকাওয়াজের টিকিট বিক্রয় শুরু হয়ে যায়।কোভিড পরিস্থিতিতে এই তারিখ পিছিয়ে ১৪ ই জানুয়ারি করা হয়েছে। টিকিট কাটার জন্য পরিচয় পত্র থাকাটা আবশ্যিক। যেসব পরিচয় পত্র গুলি এক্ষেত্রে গ্রহণ করা হয় সেগুলি হল—ভোটার আইডি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, প্যান কার্ড, আধার কার্ড, রাজ্য সরকারের দেওয়া পরিচয় পত্র এবং সাথে কোভিড ১৯ -এর টিকা নেওয়ার শংসাপত্র। কেবল মাত্র দুটি ডোজ ই পেয়েছেন এমন প্রাপ্তবয়স্ক এবং একটি ডোজ পাওয়া ১৫ বছরের উর্ধ্ব বয়সীরাই এই টিকিট পেতে পারে।সংরক্ষিত আসন গুলির জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা এবং ও সংরক্ষিত আসন গুলির জন্য ১০০ টাকা। সেনা ভবন (গেট নং ২), শাস্ত্রী ভবন (৩ নম্বর গেটের কাছে), জামনগর হাউস (ইন্ডিয়া গেট এর বিপরীতে), সংসদ ভবনের রিসেপশন অফিস, প্রগতি ময়দানে পাওয়া যাচ্ছিল টিকিট। আর কালই হবে প্রজাতন্ত্রের মহান উৎসব প্রজাতন্ত্র দিবস।