পবিত্র জায়গায় অশোভনীয় পোশাকে নিষেধাজ্ঞা
পুরীর মন্দিরে জারি হল পোশাক বিধি। ভাবছেন তো? কি পোশাক পড়া যাবে আর কি পোশাক পরা যাবে না। তাহলে আসুন জেনে নিই কি পোশাক পরা যাবে না।

শুভঙ্কর,উড়িষ্যা: ‘আপ রুচি খানা ও পর রুচি পড়না’ এই কথাটা কিছু ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও সব ক্ষেত্রে নয়। খাদ্য ও পোশাক এমনই বস্তু যা স্থান-কাল-পাত্র মেনে খেতে হয় বা পড়তে হয়। বিশেষ করে পোশাক তো তাই। “সব জায়গায় সব পোশাক চলেনা” ঠিক তেমনটাই বুঝিয়ে দিল পুরীর বিখ্যাত জগন্নাথ মন্দির। জারি করা হলো পোশাক নিয়ে ফতোয়া। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ছেঁড়া জিন্স, হাফ প্যান্ট কিংবা হাতকাটা টি শার্ট, ইত্যাদি অশোভনীয় পোশাক পড়ে প্রবেশ করা যাবে না পবিত্র মন্দিরে।
মন্দিরের কর্তৃপক্ষের দাবি, পুজো করার সময় অনেকসময় অনেকে ভদ্র পোশাক পড়েনা ভক্তরা। যা চোখে দেখতে একেবারেই ভালো লাগেনা। সেই কথা মাথায় রেখে এই ফতোয়া জারি করা হয়েছে। মুখ্য প্রশাসক রঞ্জনকুমার দাস বলেন, “আমরা কাউকে কোন নির্দিষ্ট পোশাক পড়ে আসতে বলছিনা। তবে কোন রকমের আপত্তিকর পোশাক পড়ে কোন ভক্তকে পুজো দিতে দেওয়া হবেনা। ছেঁড়া জিন্স, হাতকাটা টিশার্ট বা হাফ প্যান্টের মতো পোশাক পরে ঘোরা তো দূর, তাদের প্রবেশই করতে দেওয়া হবেনা। আগামী বছরের প্রথম দিন থেকেই এই নিয়ম চালু করব আমরা। এটাই ঠিক করা হয়েছে।” তবে বলে রাখা ভালো, খুদেদের পোশাকে কোন বাধা নেই। নিয়ম আগামী বছর থেকে চালু করা হলেও এখন থেকেই মাইকিং করে সচেতন করার কাজ চলছে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।
এই নিয়ম মন্দিরের নিয়ম অনুযায়ী একেবারে সঠিক বলে মনে করা হচ্ছে এই মুহূর্তে, তবে এতে পড়বেনা তো ‘নীতি পুলিশি’র তকমা? এই নিয়ম এখন ভালো চোখে নিলেও পরবর্তীকালে সবাই ভালো চোখে নেবে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। তাছাড়াও নিয়ম ভাঙলে কি পদক্ষেপ নেবে মন্দির কর্তৃপক্ষ সেটাও দেখার বিষয়। তবে সব উত্তরই পাওয়া যাবে আগামী বছরে। অর্থাৎ ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের এক তারিখ থেকে। এবার মূল বিষয় কতজন মেনে চলবে এই নিয়ম।