ভারতীয় পড়ুয়াদের দুরাবস্থা উস্কে দিচ্ছে বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতি! তাহলে পুতিনই কী নবযুগের হিটলার

রাশিয়ার আগ্রাসী মনোভাবের জেরে চিন্তায় বিশ্ববাসী। বেশ কয়েকদিন ধরেই সেই দেশে আটকে রয়েছে একাধিক ভারতীয় পড়ুয়া। ভারতীয় দূতাবাস ( Russia-Ukraine War ) তরফে সর্বক্ষণ চেষ্টা করা হচ্ছে তাদেরকে সেই যুদ্ধ পরিস্থিতি মাঝ থেকে তুলে আনার। এমতাবস্থায়, ভারতকে সাহায্য করছে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী,  যুদ্ধ পরিস্থিতির পূর্বে ইউক্রেনে ভারতীয় পড়ুয়ার সংখ্যা ১৬ হাজারেরও বেশি। যুদ্ধ পরিস্থিতি সূত্রপাতের পর থেকেই ধীরে ধীরে তারা নিজ দেশে ফেরার চেষ্টা করেছে। কিন্তু কিছু সংখ্যক মানুষ এই দেশে দিরে যেতে পারলেও। একটি বড় অংশ আটকে পড়ে সেখানে। বারংবার আর্জি জানতে থাকে নিজ দেশের কাছে। যেন তেন প্রকারে তাদের যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে বের করে নিয়ে আসার চেষ্টাও করে যায় কেন্দ্র সরকার।

মঙ্গলবার মোট ২০০০ ভারতীয় পড়ুয়াকে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে বের করতে সাহায্য করল পোল্যান্ডের সরকার। ইউক্রেন-পোল্যান্ড সীমানায় এনে ভারতীয় ( Russia-Ukraine War ) দূতাবাসের হাতে তুলে দিল পড়ুয়াদের। জানা যায়, নিজ দেশে ফেরার জন্য ভিসা। এমনকি একটি বিশেষ প্লেনেরও ব্যবস্থা করে দেয় পোল্যান্ডের সরকার। পোল্যান্ডের এই সহযোগিতায় দেহ যেন প্রাণ ফিরে পায় ভারতীয় পড়ুয়ারা। চোখের সামনে ভেসে ওঠে নিজের বাড়ির ছবি। নিজ প্রিয়জনদের দেখতে পাওয়ার আশায় আত্মহারা হয় পড়ে ভারতীয় পড়ুয়ারা।

কথায় আছে, ইতিহাস নিজেকে বারংবার ফিরিয়ে আনে। সত্যিই সব কিছু যেন ইতিহাসের মর্জিতেই ঘটছে। ভারতীয় পড়ুয়াদের পোল্যান্ডকে এই সাহায্যের পিছনে যেন রয়েছে ইতিহাসের হাত। ইতিহাসের পাতায় তাকালে দেখা যাবে, পোল্যান্ড যখন পড়েছিল ঘোর বিপদ, তখন সেই সময় তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে ছিল এক ভারতীয় মহারাজা। সময়টা ছিল দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের। হিটলারের চোখ রাঙানির জেরে ভয়ে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। এমতাবস্থায় হিটলারের বর্বরতা থেকে উদ্ধার করা হয় ১০ হাজার শিশুকে।

যার মধ্যে ৫০০ জন পোলিশ শিশুকে পোল্যান্ড ও তৎকালীন সোভিয়েত ( Russia-Ukraine War ) ইউনিয়ন হয়ে একটি জাহাজে করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ভারতের দিকে। ভারতের আসার আগে  আফগানিস্তান, মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের বন্দর থেকে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কোনও দেশই তাদের রক্ষা করার দায়িত্ব নিতে চায়নি। এদিক ওদিকে ধাক্কা খেয়ে সেই শিশু বোঝাই জাহাজ এসে পৌঁছয় ভারতের পশ্চিম দিকের বন্দরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রকোপ থেকে বাঁচতে ভারতই ছিল তাদের শেষ ভরসা। তৎকালীন সময়ে ভারতেও যে খুব শান্ত পরিস্থিতি ছিল এমনটা  মোটেই নয়। ভারত তখন ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে উঠে পড়ে লেগেছে। এমন অচলাবস্থায় কে নেবে সেই শিশুদের দায়িত্ব? এই প্রশ্ন ঘুরে বেড়াটে শুরু করে গোটা দেশ জুড়ে। এই সময় এগিয়ে আসেন মহারাজা দিগ্বিজয় সিংজী। সেই অস্থির পরিস্থিতির মাঝে যখন গোটা বিশ্ব ফিরিয়ে দিচ্ছিল সেই শিশুদের। এমন সময় পোল্যান্ডের সেই শিশুদের দায়িত্ব নিজের কাঁধেই নিয়ে নেন তিনি। বিশ্বের সামনে প্রকাশ পায় তাঁর সহৃদয়তা।

আরও পড়ুন….আবারও পেছোল মুক্তির তারিখ,কবে মুক্তি পাবে অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘পৃথ্বীরাজ’

যুদ্ধ বন্দি শিশুদের নিজের কাছে রেখে দেন তিনি। তৈরি করেন একটি শরণার্থী আশ্রয়স্থল। সেখানেই ব্যবস্থা করেন তাঁদের ভরণপোষণের জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুর। যুদ্ধ বন্দি হওয়ায় প্রথমেই সেই শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন মহারাজা। সেই ঘটনা ঘটে ( Russia-Ukraine War ) গিয়ে কয়েক দশক কেটে গেলেও ইতিহাস মনে রেখেছে মহারাজের সেই নরম মনের কাহিনীকে। আজ ভারতীয় পড়ুয়ারা যখন বিধ্বস্ত, বিষণ্ণতা ও চিন্তা যখন তাদের কুরে কুরে খাচ্ছে। এমতাবস্থায়, ইতিহাসের ঋণ শোধ করল পোল্যান্ড। যুদ্ধের মধ্যে থেকে নিয়ে এসে নিজ দেশে ফিরিয়ে দিল তাদের।




Leave a Reply

Back to top button