তুমি যুদ্ধ বোঝ কিন্তু প্রেম বোঝ না! রণাঙ্গনেও ফুটছে রক্তরাঙা ভালোবাসার গোলাপ

বিশ্ব জুড়ে যখন বেজছে রণডঙ্কা, যখন আগ্রাসী মনোভাবাপন্ন রুশ যখন গোগ্রাসে গিলতে চেয়েছে ছোট্ট দেশ ( Russia-Ukraine War ) ইউক্রেনকে। তাঁর বিরাট সামরিক বাহিনী যখন কার্যত কব্জা করে ফেলেছে কিয়েভের রাস্তা তখন যুদ্ধের রণদামামার মধ্যেও ফুটছে উঠেছে এক খানি ভালোবাসার গোলাপ। চারপাশ যখন পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে, তার মধ্যে দিয়ে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে এক টুকরো ভালোবাসা। সে চায় না এই অস্ত্রের খেলা, চায় না সাধারণের বিষণ্ণতা, চায় শুধুই এক টুকরো ভালোবাসা। ঘুমন্ত ইউক্রেনে যখন প্রথম বোমাটি পড়লো, তখনও মানুষ হয় তো ভেবে পায়নি পরিস্থিতি এতটা হাতের বাইরে চলে যাবে। চারপাশ থমথমে, আতঙ্কে নিজেদের বাসস্থান ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে চলে যাচ্ছে মেট্রো স্টেশনে। গোটা ইউক্রেন জুড়ে এখন শুধুই মানুষের কান্নার ছবি।

তবে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দিয়েই জন্ম হয় এক নতুন প্রজন্মের। এক নতুন চিন্তার। এক নতুন ভাবনার। একটা নতুন ভালোবাসার। গোটা বিশ্ব যখন ( Russia-Ukraine War ) ইউক্রেনের পরিস্থিতি দেখে শান্ত-নির্লিপ্ত। তখন সেই নির্লিপ্ততার মধ্যেই খানিকটা প্রাণ নিয়ে এল একটি ছবি। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে এক যুবক যুবতী তবে গায়ে তাঁদের ইউক্রেন ও রাশিয়ার পতাকা। ছবির মধ্যে দিয়েই ফুটে উঠল এক টুকরো ভালোবাসা। যা হয় তো রুখে দিতে পারে যুদ্ধকে।

ভালোবাসার আঙিনায় গোলাপ যে বিশ্বসেরা এই নিয়ে নেই কোনও সন্দেহ। ভালোবাসার অন্যতম প্রধান প্রতীকও এই গোলাপই। তবে যে লাল গোলাপ বিশ্বের কাছে প্রেমের প্রতীক, সেই গোলাপই আজ যে রক্তরঞ্জিত। যে গোলাপের গন্ধে মিশে আছে প্রেম, তা আজ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বারুদে। জলন্ত বোমার মতোই যুদ্ধের আগুনে পুড়ছে সেই গোলাপ। তবে ভালোবাসা চিরকাল জলন্ত। আগুনের ছোট শিখার মতো যে জ্বলে, কিন্তু নেভে না। দেশ যখন ( Russia-Ukraine War ) যুদ্ধের দাপটে ক্লান্ত, তার মধ্যে দিয়েই সাম্রাজ্যবাদী রাক্ষসের সামনে ভালোবাসার ইস্তেহার তুলে ধরল আরও এক যুবক ও যুবতী।

ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ভালোবাসার বন্ধনে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যায় আরও এক ধাপ। ধ্বংসস্তুপে ( Russia-Ukraine War ) পরিণত হওয়া শহরের এক মঠে বিয়ে করেন ইয়ারিনা আরিয়েভা ও স্ব্যাটোস্লাভ ফুরসিন। সামনে মে মাসে ধুমধাম করে বিয়ে করার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির জেরে ভেঙে যায় স্বপ্ন। বন্দুকের সামনেই পেশ করেন নিজেদের ভালোবাসা। তবে এই সুন্দর প্রাপ্তির মধ্যেও ছিল তাঁদের মুখে হাসি। একটা উদাস ভাব যেন ভিতর থেকে কুরে কুরে খেয়ে ফেলছিল তাঁদের। চারপাশে বোমার আওয়াজ, জনশূন্য পরিবেশ ও নিজেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। জানে না তাঁরা কী হবে আগামীতে, শুধু জানে, চেনে, মানে নিজেদের ভালোবাসাকে। আর সেই ভালোবাসাতেই তাঁদের প্রাপ্তি।




Leave a Reply

Back to top button