Sandhya Mukhopadhyay Passes Away: আকাশবাণী থেকে শুরু সংগীত জগতের যাত্রা পথ, শেষ রাতের আকাশে সন্ধ্যার ছায়া

বাংলা গান তথা বাংলা আধুনিক গান সাবালকত্ব লাভ করেছিল হেমন্ত-সন্ধ্যা বা মান্না-সন্ধ্যা জুটির হাত ধরে। পুরুষকণ্ঠের গানগুলিকে আধুনিকতম রূপ দিতে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় বা মান্না দে যে গানগুলি গেয়েছেন , নারী কণ্ঠে সেই গানগুলিকে অন্য রূপ দিয়েছেন প্রথম সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের । আজ সেই আধুনিকতম অথচ এক প্রাচীন নক্ষত্রের জীবনাবসান ঘটে( Sandhya Mukhopadhyay Passes Away )।
তার জীবনে গানের বীজ বুনন হয়েছিল যেভাবে
শাস্ত্রীয়সঙ্গীত, লঘু শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, আধুনিক গান, নজরুলগীতি, রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং সেই সঙ্গে মুম্বইয়ে হিন্দি চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকে কাজ করেছেন তিনি। তার উলেখ্য গানগুলি হল ‘এ শুধু গানের দিন’, ‘আমি যে জলসাঘরে’-র মতো ফিল্মের গান কিংবা ‘দিবস রজনী, আমি যেন কার আশায় আশায় থাকি’-র মতো রবীন্দ্রসঙ্গীত । তিনিই স্বয়ং ‘গীতশ্রী’! সম্প্রতি কেন্দ্র তাঁকে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। কিন্তু সন্ধ্যা তা প্রত্যাখ্যান করেন।
জীবনের পথে যে কাজ তিনি করেছেন
সন্ধ্যা মুখোাধ্যায় মাত্র ১২ বছর বয়সে কলকাতা আকাশবাণীর রেডিওতে ‘গল্পদাদুর আসর’-এ প্রথম গেয়েছিলেন গীতিকার অজয় ভট্টাচার্যের লেখা একটি গান। প্রথম পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন পাঁচ টাকা। ১৩ বছর বয়সে হয়েছিল প্রথম বেসিক রেকর্ড। এইচএমভি থেকে প্রকাশিত যেখানে গানের কথা ও সুর গিরিন চক্রবর্তীর। ‘তুমি ফিরায়ে দিয়ে যারে’, উল্টো পিঠে ‘তোমারো আকাশে ঝিলমিল করে চাঁদের আলো’ বিশেষ ভাবে উল্লেখিত। এরই মধ্যে দু’টি বাংলা ছবিতে নেপথ্যে গাওয়ার সুযোগ হয়েছিল তার। প্রথম ছবির সঙ্গীত পরিচালক কিংবদন্তি রাইচাঁদ বড়াল। ছবির নাম ‘অঞ্জনগড়’। দ্বিতীয় ছবি ‘সমাপিকা’-র সঙ্গীত পরিচালক রবীন চট্টোপাধ্যায়। চল্লিশের দশকের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যার এরকম সাঙ্গীতিক সাফল্য বলে দেয় তাঁর সফরটি প্রশস্ত হতে চলেছে।
সন্ধ্যার শিক্ষা
সন্ধ্যার শিক্ষার দিকে দৃষ্টিপাত করলে বলতে হয় তিনি পটিয়ালা ঘরানার দ্বারা দীক্ষিত ছিলেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের এমন ভাবে তিনি দীক্ষিত ছিলেন আধুনিক, ছায়াছবি কিংবা রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ার সময় তাঁর শাস্ত্রীয়সঙ্গীত শিল্পীর কারুকাজটি সযত্নে লুকিয়ে রাখতে পারতেন।
অবসান হল
জাতীয় পুরস্কার-সহ বহু সম্মান প্রাপ্তি হয়েছে সন্ধ্যার। তবে সন্ধ্যার সব চেয়ে বড় পুরস্কার মানুষের মননে তাঁর স্থান। বহু দিনই তিনি জনপরিসরে গান করেননি। অবশেষে আজ সন্ধ্যা ডুবলেন চিরতরে। গভীর রাত ঘনিয়ে এল আজ।
আরও পড়ুন সঙ্গীতমহলে নামল অকাল সন্ধ্যা, গীতশ্রীর যে ৫ গানের সুর মূর্ছনায় আজও হারায় আপামর বাঙালি