ধসে জেরে জেরবার জনজীবন! পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে আটকে হাজারও মানুষ

বিগত দিনে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে একটা ভ্যাপসা গরমে যেন ক্লান্ত মানুষ। এই রকম পরিবেশ মানেই বাঙালির মন দৌড় দেয় পাহাড়ের দিকে। পাহাড় এবং বাঙালির সম্পর্কের মধ্যে যেন আলাদাই মিষ্টতা রয়েছে। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা কোনও কিছুই যেন আটকে রাখতে বাঙালিকে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি কিছুটা বদলেছে। পাহাড় কেটে রাস্তা ও মানুষের জন্য পর্যটন স্থল তৈরির জেরে আগের তুলনায় বেড়েছে ধসের পরিমাণ। পাহাড়ি এলাকায় ভূমি ধস হামেশাই লেগে থাকে ঠিকই। কিন্তু বর্তমানে যেন বেড়েছে এই প্রকার ঘটনার পরিমাণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষের সীমাহীন আধুনিকতার জেরেই এই পরিস্থিতি।
এদিন সকাল সকাল সিকিমের বর্ডারগুলিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হল ‘নো এন্ট্রি বোর্ড’। জানা গিয়েছে, সিকিমের অধিকাংশ রাস্তাগুলিতে ধসের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিকিম সরকার। ধসের কারণে বেশ অসুবিধায় পড়েছেন পর্যটকরা। শিলিগুড়ির ও দার্জিলিংয়ের মোট হাজার পাঁচেক মানুষ ইতিমধ্যে আটকা পড়েছে সেখানে। শিলিগুড়ি ও দার্জিলিংয়ের বহু বাসিন্দাই প্রতিদিন কাজ ও ব্যবসার জন্য সিকিম যাতায়াত করে থাকেন। এই ধসের জেরে তারাও রীতিমতো বিপদের মুখে পড়ে যান। জানা গিয়েছে, ধসের কারণে মাঝপথ থেকেই ফিরে যেতে হয় অনেক পর্যটকদের।
উল্লেখ্য, ধসের জেরে বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন অনেকে। নিহতের সংখ্যা একটি। টানা বৃষ্টির জেরেই এই ধসের সৃষ্টি বলে মতামত বিশেষজ্ঞদের। ধসের জেরে আটকে গিয়েছিলেন বহু মানুষ। সিকিম সরকারের উদ্দ্যোগেই তাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হয়। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং জানিয়েছেন, তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সেনার সঙ্গে উদ্ধারকার্য পরিচালনা করেছেন। সিকিমের মোট ১২০০ স্থানীয় মানুষদের ওই ধস থেকে উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, মানুষের এই বিপদে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সেনাবাহিনী। গতকাল থেকে চলছে উদ্ধারকার্য। আজ সকালের পাওয়া খবর অনুযায়ী, সিকিমের এই ধসে আটকা পড়েছেন সাড়ে সাতশো পর্যটক। গতকাল গভীর রাতে সিকিমের পেঙ্গুন থেকে দশ কিলোমিটার দুরে সিংপি নামক জায়গা থেকে আটজন পর্যটকদের উদ্বার করেন সেনাবাহিনী। তাদের প্রত্যেকেরই বাড়ি আহমেদাবাদে। এছাড়াও আরও তিনজন পর্যটককে উদ্বার করে সেনাবাহিনী। এদিকে সিকিমের ভয়াবহ ধসে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করতে ভারত সরকার পঞ্চাশ জন জওয়ানকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে।