ধোঁয়া আর দূষণ থেকেই একেবারে আলাদা! ভারতেরই এই শহরগুলির হাওয়া সবচাইতে নিরাপদ

বিশ্বের প্রায় অনেকগুলি দেশের মধ্যে ভারত ও একজন যে কিনা বায়ু দূষণের সূচিতে বিরাজমান। দূষণ আমাদের কাছে নিত্যদিনের একটা সঙ্গী। প্রায় সব ক্ষেত্রেই আমাদের পরিবেশ আমাদেরই দ্বারা প্রতিনিয়ত দূষিত হয়ে চলেছে। কিন্তু পূর্বে কিছুদিন যাবত এই সূচিতে কিছুটা হলেও পরিবর্তন এনেছে। আর এর সূচনা হয়েছে করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের সময় থেকে। গোটা দেশে তথা বিশ্ব যখন করোনা সংক্রমণ এর জেরে স্তব্ধ তখন পরিবেশে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

untitled(8)(9)

করোনা ও লকডাউনের সময় পরিবেশবিদের দ্বারা পরিবেশ দুষনে এক বড়সড় পতন লক্ষ্য করা গেছে। উপগ্রহ চিত্র (Satellite images) এর মাধ্যমে এক এক করে ধরা পড়েছে যে লকডাউনের প্রভাবে বায়ু দূষণের পতন ঘটছে। পরিবেশ বিজ্ঞানিদের দ্বারা পরিক্ষিত বিশেষ উপগ্রহ (Copernicus Sentinel-5p satellite) এর মাধ্যমে বিভিন্ন রকম ভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর এই তথ্য আরো দৃঢ় হয়। সংশ্লিষ্ট এই স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে পরিবেশবিদরা দেখতে পেয়েছেন, লকডাউনের পর্ব চলাকালীন ( 24th March-20th April) বাতাসে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এর পতন উল্লেখযোগ্য ভাবে ঘটেছে।

untitled(7)

আরও পড়ুন ….পৃথিবীর বাইরে রাগী গ্রহ বৃহস্পতিতে রয়েছে প্রাণ! গবেষণায় বিজ্ঞানীদের চাঞ্চল্যকর দাবি
আরও পড়ুন ….সন্তান নেই, ভালোবাসতেন নিজের ছেলের মত! এই ব্যক্তিকেই সমস্ত সম্পত্তি দিয়ে গেলেন লতা মঙ্গেশকর
উপগ্রহ চিত্র থেকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবিজ্ঞানীদের দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে, যে বাতাসে ( 40 to 50 cent in pollution) দূষণের মাত্রা কম হয়েছে। কিন্তু সবথেকে বেশি যেটা চিন্তার বিষয় তা হল দেশের রাজধানী দিল্লি। এখানে বাতাসে ধূলিকনা ও দুষনের পরিমান সবচেয়ে বেশি। যা এই বছরেও ধারাবাহিক ভাবে বজায় রয়েছে। এই বায়ু দূষণের কারনে সাত দিন যাবত বন্ধ ছিল দিল্লির সমস্ত অফিস ও স্কুল গুলি।

আরও পড়ুন ….ভারতীর কোল আলো করল পুত্রসন্তান, খুশির আমেজের ছড়াছড়ি নেটপাড়ায়
গত বছর শুধুমাত্র বায়ু দূষণের কারনেই আমাদের দেশে বহু মানুষ অসুস্থ ও মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটেছে। বায়ু দূষণ চিহ্নিত করার জন্য কতগুলো পর্যায় বিজ্ঞানীদের মারফত স্থির করা হয়েছে যেমন- সবুজ হলে তার গুণমান ভাল, হলুদ হলে মধ্যপন্থী, কমলা ও লাল হলে অস্বাস্থ্যকর, বেগুনি হলে খুব অস্বাস্থ্যকর।

untitled(10)

তবে এর মধ্যেও দেশে অভ্যন্তরে এমন কিছু জায়গা আছে যেখানকার বাতাসের গুণমান খুব ভালো। আর এই অঞ্চলগুলি পরিবেশগত দিক থেকেও উন্নত। এই জায়গা গুলি হল- আইজল, মিজোরাম। এখানকার বায়ুমানের সূচক হল ৭ । দ্বিতীয় স্থানে হল দেভানগিড়ি কর্নাটক , এখানকার বায়ুমানের সূচক হল ১২। তৃতীয় স্থানে রয়েছে আসামের ডিগবয়। এখানকার বায়ুমানের সূচক হল ১৩। চতুর্থ স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্রের পার্লি ভাইজনাথ। এখানকার বায়ুমানের সূচক হল ১৩।

পঞ্চম স্থানে রয়েছে পন্ডিচেরি। এখানকার বায়ুমানের সূচক হল ১৩। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কর্নাটকের হনালি। এখানকার বায়ুমানের সূচক হল ১৪। সপ্তম স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ুর জর্জটাউন। এখানকার বায়ুমানের সূচক হল ১৭। অষ্টম স্থানে রয়েছে কেরালার রামাঙ্গালাম। এখানকার বায়ুমানের সূচক হল ১৭। নবম স্থানে রয়েছে কেরালার সিরহাটি। এখানকার বায়ুমানের সূচক হল ২৪। সর্বশেষ দশম স্থানে রয়েছে কর্নাটকের কোপ্পাল। এখানকার বায়ুমানের সূচক হল ২৬।

প্রসঙ্গত, সুস্থ জীবন যাপন করতে হলে সবথেকে বেশি দরকার নিজের পরিবেশকে সুস্থ রাখা। এই পরিবেশের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম। তাই আমাদের সকলের উচিত পরিবেশ দূষন রোধ করে একে সুস্থ ও সাবলীল করে তোলা যাতে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মও সুস্থ ভাবে গড়ে ওঠে।




Leave a Reply

Back to top button