খেলতে দেওয়া হয়নি PUBG! গেমের নেশায় মা-কে খুন, আনন্দে সারারাত চলল নাবালকের পার্টি

নেশা মানুষকে নিজের মধ্যেই আবদ্ধ করে ফেলে। মানুষকে শারীরিক ও মানসিক উভয় দিক থেকেই করে তোলে নিঃসঙ্গ। নেশা কিন্তু শুধুই মাদক বা তামাকের হয় না। হয় গেমেরও। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষ বুঁদ হয়েছে নিজেদের হাতের ছোট্ট ফোনটির মধ্যে। সেখানেই তৈরি করেছে নিজের দুনিয়া। ফোনের মধ্যেই যেন সব কিছু পেয়ে গিয়েছে মানুষ। সেই কারণে সমাজ ভুলে, বহির্জগৎ ছেড়ে মানুষ আজ সেখানেই মেতেছে। বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে ফোনের মধ্যেই, গড়ে উঠেছে এক নতুন সমাজ। ফেসবুক সমাজ, বেড়েছে গেমিং চর্চা যার প্রভাব আপাতত নাবালক মনে পৌঁছছে এক অন্য উচ্চতায়। আর সেই প্রভাবের জেরে সারাদিন ফোনের মধ্যেই ডুবে থাকছে এখনকার প্রজন্ম।
গত কয়েকবছরে সামাজিক মাধ্যম তথা গেমিং জগৎ জুড়ে ভীষণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে PUBG গেম। নাবালক মনে এক অন্য রকম জায়গা করে নিতে পেরেছে এই গেম। যার জেরে নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে ছেলেমেয়েরা ডুবে থাকছে এই গেমের মধ্যে। আর ঘটে যাচ্ছে বিপদ। সব ভুলে গেমের মধ্যে পড়ে থেকে মানসিক ভারসাম্য হারাচ্ছেন অনেক নাবালক। নেমে আসছে বাজে পথে। যেমন, এদিনের ঘটনা PUBG খেলতে না দেওয়া মা’কে খুন করে বসল এক বছর ১৬-এর নাবালক। ঘটনা উত্তরপ্রদেশের লখনৌ শহরের। পাবজি খেলতে না দেওয়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় মা’কে খুন করে নাবালক। দু’দিন ধরে ফ্ল্যাটের মধ্যেই মায়ের মৃতদেহ লুকিয়ে রাখে। তার বোনকে কাউকে এই ঘটনার কথা না বলতে শাসিয়েছিল সে। যাতে মৃতদেহের গন্ধ বাইে না যায়, তাই রুম ফ্রেশনার ব্যবহার করছিল অভিযুক্ত।
মৃতের নাম সাধনা সিং(৪০)। স্বামী সেনায় কাজের সূত্রে অধিকাংশ সময় বাইরেই থাকেন। এই ঘটনার সময়ও তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বাড়িতে একটি লাইসেন্সধারী রিভলবার সেই বন্দুক ঘুমন্ত মায়ের মাথা ঠেকিয়ে গুলি চালায় অভিযুক্ত নাবালক। শনিবার রাতে মায়ের সঙ্গে গেম খেলা নিয়ে যথেষ্ট বচসা বাঁধে তার। আর তারপরই এই ঘটনা। খুন করে ঘরের মধ্যে দু’দিন ধরে মায়ের মৃতদেহ লুকিয়ে রাখে অভিযুক্ত। এই সময় নিজের বন্ধুদের সঙ্গে ঘরে পার্টিও করে সে।
এদিকে, পুলিশ খুনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে প্রাথমিক জেরায় অস্বীকার করে দোষ চাপায় এক ইলেকট্রিশিয়ানের উপর। সে দাবি করে যে দুই দিন আগে এক ইলেক্ট্রিশিয়ান এসেছিল বাড়িতে। সেই তার মাকে খুন করেছে। পরে অবশ্য পুলিশ নাবালকটিকে হেফাজতে নিয়েছে। অভিযুক্তের বোনের বয়ানের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় তাকে।