তিনরঙা ভারতের বুকে স্বাধীনতার চিহ্ন! জেনে নিন স্বাধীনতা দিবসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য
১৯৪৭ থেকে ২০২৩ অতীত, ঐতিহ্য আঁকড়ে ভারতের স্বাধীনতা দিবস। জানুন এদিনের ঐতিহাসিক তাৎপর্য

পূর্বাশা, হুগলি: দীর্ঘ সময়ের ব্রিটিশ রাজ শেষে ভারতবর্ষে আসে স্বাধীনতা। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট তিন রঙা পতাকা ওড়ে ভারতের আকাশে। এই দিন মুক্তির দিন স্বাধীনতার দিন। অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার সংগ্রাম, তাঁদের বলিদান বহিরাগত শক্তির হাত থেকে ছিনিয়ে এনেছে স্বাধীনতা। সাধারণ মানুষের উপর হওয়া অত্যাচার, লাঞ্ছনার প্রতিবাদ রক্তে রাঙা দেশে আঁকে স্বাধীনতার ছাপ। প্রতি বছর তাঁদের সকলের স্মরণে পালিত হয় স্বাধীনতা দিবস।
১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের পরে দিল্লির লালকেল্লার লাহোরি গেটের উপর ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সেই সময় থেকে প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লায় ভারতের পতাকা উত্তোলন করেন ও জাতির উদ্দেশ্যে বার্তা দেন। জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার পরে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। তবে ভারতের স্বাধীনতা লাভের প্রক্রিয়া মোটেই সহজ ছিল না। জানা যায়, ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ সরকার বুঝতে পারে ভারতের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতা সামলানোর ক্ষমতা হারিয়েছে ব্রিটিশ বাহিনী। ক্রমান্বয়ে তাঁরা ভারতে শাসন অবসানের সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৪৭ সালে ঔপনিবেশিক সরকার ঘোষণা করেন, ভারতে শেষ হচ্ছে ব্রিটিশ রাজ।
প্রতিবছরের মতো এবছরেও দেশ জুড়ে ধুমধাম করে পালন করা হবে স্বাধীনতা দিবস। লালকেল্লা থেকে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী বছরের লোকসভা ভোটের আগে এই স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিদ্বজ্জনেরা। এদিন দর্শক আসনে থাকবেন দেশের অন্যান্য দফতরের মন্ত্রী, সংস্থার প্রতিনিধিরা। পতাকা উত্তোলনের পর হেলিকপ্টার থেকে হবে পুষ্পবৃষ্টি। স্কুল, কলেজ, অফিসে পতাকা উত্তোলন করে মিষ্টিমুখ করবেন দেশবাসী। আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হবে স্বাধীনতার গান।