যৌনকর্মীদের আইনি স্বীকৃতি! রেহাই কি মিলবে দৈনিক পুলিশি চোখ রাঙানি থেকে?

অনীশ দে, কলকাতা: যৌনকর্মীদের পেশাকে আইনত সমর্থন জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। একাধিক নাগরিক প্রশ্ন তুলেছেন, এর ফলে যৌনকর্মীদের (Prostitutes) উপর হওয়া অত্যাচারের পরিমাণ কি একটুও কমবে? যৌনকর্মী হওয়ায় পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন তারা, তা একাধিকবার উঠে এসেছে জনসমক্ষে। এমনকি এই ব্যবসার সাথে পাচারের মত গুরুতর অপরাধের সংযোগ রয়েছে, তাও সকলে জানেন।

ভারতীয় দণ্ডবিধির অনুযায়ী, পতিতাবৃদ্ধি যুগের পর যুগ চলে আসা একটা রীতি। কখনই তাকে বেআইনি বলে গণ্য করা হয়নি, আবার আইনি বলেও ধরা হয় না এই ব্যবসাকে। কিন্তু পতিতাবৃত্তির (Prostitution) একাধিক দিক অপরাধমূলক। যেমন, লোকালয়ে পতিতাবৃদ্ধি আইনত অপরাধ। কিন্তু এখনও ভারতবর্ষের একাধিক জায়গায় এই রীতি বজায় আছে। এমনকি হোটেলে পটিতাবৃদ্ধিও আইনত অপরাধ।

pros 4
অনৈতিক ট্রাফিক(প্রতিরোধ) আইন ,1986 হল মূল আইনের একটি সংশোধনী আইন (Supreme Court)। এই আইন অনুসারে, পতিতাদের অন্যকে প্রলুব্ধ করতে দেখা গেলে গ্রেপ্তার করা হবে। অতঃপর, কল গার্লদের তাদের ফোন নম্বর সর্বজনীন করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই আইন না মানলে জরিমানাসহ তাদের ৬ মাস পর্যন্ত সাজা হতে পারে। ভারতীয় দণ্ডবিধির নিবন্ধ ২৩-এ (Article 23) বলা হয়েছে, মানব পাচার এবং শ্রমের জন্য জোর করলে তা আইনত অপরাধ (Supreme Court)।

pros 3

ভারতীয় আইন অনুযায়ী বেশ্যাবৃত্তি আইনত অপরাধ নয়। কিন্তু সাধারন মানুষের অসুবিধার সৃষ্টি এবং লোকালয়ে পতিতাবৃদ্ধি আইনত অপরাধ।সুপ্রিম কোর্টের মতে যৌনকর্মীদেরও বাকি সবার মত কিছু মৌলিক অধিকার রয়েছে যা রক্ষা করা আইনব্যবস্থার দায়িত্ব। সুপ্রিম কোর্ট এও জানায়, যদি কোনো যৌনকর্মী কারোর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অভিযোগ করে।
আরও পড়ুন:মাখোমাখো প্রেমে মজে অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা! টানা ১১ বছরের মধুর সম্পর্কে এখনও পড়েনি ফাটল
তবে সেই অভিযোগকে খতিয়ে দেখবে পুলিশ। যদি কখনও পতিতালয়ে পুলিশি অভিযান চালানো হয় তবে সেখানে কর্মরত যৌনকর্মীদের গ্রেফতার বা হেনস্থা করার অধিকার নেই পুলিশের। এছাড়াও যদি কোনো যৌনকর্মী (Prostitutes) শারীরিক নির্যাতনের মামলা করে তবে তাকে আর পাঁচজন সাধারন মহিলার মতই সুযোগ সুবিধা দেবে পুলিশ।




Leave a Reply

Back to top button