সমাজের পাহারাদারই এখন চোর! তেলেঙ্গানা গণধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার এক পুলিশ কর্মী

কথায় আছে, বাঘে ছুঁলে ১৮ ঘা, পুলিশে ছুঁলে ৩৬। বর্তমান যুগে অধিকাংশ মানুষের মনে ( Telangana Gang Rape ) পুলিশের প্রতি তৈরি হয়েছে একটা ভয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, সেই ভয় আদতেই মনের মধ্যে লুকিয়ে থেকে ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ। আসলে সব পুলিশ খারাপ এমনটা মোটেই নয়। এক শ্রেণির জন্য বদনাম হচ্ছে গোটা পুলিশি মহল। সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা তৈরি হওয়ার পরিবর্তে তৈরি হচ্ছে ভয়, ঘৃণা ইত্যাদি।

যেমন, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতির দিকে তাকালেই এর উদাহরণ মিলে যাবে। আনিস খানের রহস্য মৃত্যুকে ঘিরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার নেপথ্যে মূল অভিযুক্ত হিসাবে পুলিশকেই কাঠ গোড়ায় তোলা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের প্রতি আস্থা নেই ছাত্র নেতার পরিবারের। সাহায্যের জন্য আনিসের বাবা গোটা রাত জুড়ে বারংবার ফোন করেছিলেন স্থানীয় থানায় কিন্তু ফোন রিসিভ করেননি কেউই। নানা ক্ষেত্রেই গোটা দেশ জুড়ে এই প্রকারের ঘটনা দেখা গেছে যেখানে দোষী খোদ পুলিশই।

আরও পড়ুন…Ukraine: ‘বাবা কবে দেখা হবে…’ যুদ্ধে যাওয়ার আগে বাবাকে আর্জি মেয়ের

দেশে প্রতিদিনই এমন বহু ঘটনা সামনে উঠে আসছে যেখানে দোষীর সঙ্গে ( Telangana Gang Rape ) পুলিশের যোগ সূত্র মিলছে। যেমন, এদিন তেলেঙ্গানায় একটি ২৩ বছর বয়সী মেয়েকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় একজন পুলিশ কর্মী সহ ৩ জনকে। অভিযুক্তরা তেলেঙ্গানার নেল্লিকুডুরু এলাকার বাসিন্দা। গোটা ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে একজন পুলিশ কর্মী সাদ্দাম হোসাইন। বাকি তিন জনও ওই এলাকার বাসিন্দা। একজন ফুল ব্যবসায়ী, একজন রিক্সা চালক ও একজন প্রাক্তন মন্ডল পরিষদের প্রার্থীর স্বামী।

আরও পড়ুন…“ছেলেকে বাড়ি ফেরাব কীভাবে?” রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দুশ্চিন্তায় কাতর কণ্ঠে প্রশ্ন মায়ের

উল্লেখ্য, গোটা ঘটনার সূত্রপাত হয় চলতি মাসের ১৭ই ফেব্রুয়ারি। এদিন ওই মেয়েটি সেই নেল্লিকুডুরু এলাকায় তার একটি বন্ধুর বাড়ি গিয়েছিল। সেখানে ওই অভিযুক্তরা উপস্থিত ছিল। তারা সেই মেয়েটিকে দেখে তার উপর শারীরিক নির্যাতন করে এবং ( Telangana Gang Rape ) ধর্ষণ করে রাত ২টো নাগাদ ছেড়ে দেয়। এরপর মেয়েটি নিজের বাড়ি ফিরলে তার দাদা তাকে দেরি করে বাড়ি ফেরার কারণে বকাবকি করেন। গোটা ঘটনার জেরে মানসিকভাবে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে মেয়েটি। এবং  মানসিক অবসাদে বিষ খেয়ে নেন। তাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখে প্রতিবেশীরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মেয়েটিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। গোটা ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকা জুড়ে। স্থানীয় পুলিশ নেমে পড়ে তদন্তে। ময়নাতদন্ত করা হয় মৃত দেহটির। সেখান থেকেই উঠে আসে ধর্ষণের তথ্য। অবশেষে, বেশ কয়েকদিন টানা তদন্তের পর গ্রেফতার করা হয় একজন ( Telangana Gang Rape ) পুলিশ কর্মী সহ তিনজনকে।

 




Leave a Reply

Back to top button