গৃহীত দিল্লি ঘোষণাপত্র, একের পর এক চমকে সফল প্রথম দিনের জি২০ বৈঠক
সংস্কৃতির যোগ বন্ধন থেকে শুরু করে, গ্রুপ অফ ২০ প্রত্যেক সদস্য দেশের মধ্যে ঐক্যসহ আফ্রিকান ইউনিয়নকে স্থায়ী সদস্যপদ দেওয়া সব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো উঠে এল প্রথম দিনের বৈঠকেই।

শুভঙ্কর, নয়া দিল্লি: প্রথমবারের জন্য জি-২০ বৈঠকের সভাপতি ভারত। প্রথমবারে প্রথম দিনেই ছক্কা হাঁকালো ভারত। সর্বসম্মতি ক্রমে গৃহিত হল একাধিক প্রস্তাব। প্রধানমন্ত্রীর ‘সবকা সাথ সব বিকাশ’ মডেল উঠে এল বিশ্বের সামনে। সংস্কৃতির যোগ বন্ধন থেকে শুরু করে, গ্রুপ অফ ২০ প্রত্যেক সদস্য দেশের মধ্যে ঐক্যসহ আফ্রিকান ইউনিয়নকে স্থায়ী সদস্যপদ দেওয়া সব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো উঠে এল প্রথম দিনের বৈঠকেই। বলা যেতে পারে প্রথম দিনেই ছক্কা হাঁকালো “টিম মোদি”।
নির্ধারিত একদিন আগেই সাংবাদিক সম্মেলনে আসেন সাউথ ব্লকের কর্তারা। সেখানেই জয়ের পরিতৃপ্ত হাসিতে জানানো হয় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে দিল্লি ঘোষণাপত্র। এছাড়াও এই দিনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ডাক দেন পারস্পরিক বিশ্বাস ও যে অভাব দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে তা পূর্ণ করার জন্য। অন্যদিকে ভারত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে নৌপথ ও রেলপথ নিয়েও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রথম দিনে এই বৈঠকে কি কি ফলপ্রসূ আলোচনা হল তা একনজরে দেখে নেওয়া যাক-
ভারতের জি-২০ বৈঠকের প্রথম দিনের অন্যতম বড় সাফল্য আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি২০-র স্থায়ী সদস্যপদ দেওয়া। এই ঘোষণার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টকে জড়িয়ে ধরে স্বাগত জানান। আফ্রিকাকে সদস্যপদ দেওয়াকে ‘মাইলফলক’ হিসেবে উল্লেখ করেছে প্রধানমন্ত্রী দপ্তর।
জি-টোয়েন্টির বিশ্ব মঞ্চের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে শোনা যায় ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ মন্ত্র। সকল দেশগুলোকে একত্রে এসে কাজ করা, বিশ্বজুড়ে যে বিশ্বাসহীনতার পরিস্থিতির শেষ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে দেশগুলোর মধ্যে তা কাটিয়ে ওঠার জন্য ডাক দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এই বৈঠকের প্রথম দিনই সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হল দিল্লি ঘোষণাপত্র। চীন ও রাশিয়াও এই প্রস্তাবটিকে সমর্থন করে। এই ঘোষণাপত্রে আন্তর্জাতিক আইন, সীমান্তে অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখা, আন্তর্জাতিক মানবতা আইন রক্ষা এবং শান্তি ও স্থিতাবস্থা রক্ষা সহ অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্ৰহনের কথা বলা হয়েছে।
প্রথম দিনের বৈঠকের অন্যতম বড় সাফল্য ভারত আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ মাধ্যমকে আরও উন্নত করা জন্য চুক্তি স্বাক্ষর। অর্থাৎ রেল মাধ্যম ও জলপথে এক শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি হতে চলেছে। আগামীতে যা শিল্প ও অর্থনৈতিক পরিকাঠামোতে সকল দেশকেই সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।এই দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৈশ্বিক জৈব-জ্বালানি জোটের কথা বলেন।