সমাজসেবার স্ফুলিঙ্গ জাগ্রত,দুহাজার কৃষক পরিবারের সহায়তার লক্ষ্য নিয়ে দীর্ঘ দশ বছরের কেরিয়ার ছাড়লেন সমাজপ্রেমী দম্পতি

ভারত কৃষিপ্রধান ( Agricultural development ) দেশ । এদেশের অর্থনীতির সিংহভাগটাই আসে কৃষি থেকে। তাহলে যেটি দেশের চালিকাশক্তি তার প্রতি তো নিবিড় সচেতন ও যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। এই প্রয়োজনকে উপলব্দি করেই কৃষকের ( Agricultural development ) পাশে দাঁড়ানোটাই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার করে নিলেন প্রতীক্ষা ও প্রতীক শর্মা। মধ্যস্বত্বভোগী কৃষকদের সমস্যার সমাধান , চাষ প্রণালী ও উৎপাদন পরিচালনার জন্য সঠিক পরামর্শ ও প্রশিক্ষণের জন্য তারা নিয়ে এসছেন ‘গ্রিন এন্ড গ্রেইন্স’ ( ‘Green and Grains’ ) এর মত ‘ফার্ম-টু-ফর্ক’ ( ‘Farm-to-fork’ ) ব্যবসায়িক মডেল। জমির উন্নয়ন ও কিভাবে জৈব সার প্রয়োগের মাধ্যমে জমির উৎকর্ষতা বাড়ানো যায় এই মডেলটি সেই বিষয়েই আলোচনা করে ।
কৃষকের ( Agricultural development ) কল্যাণের স্বার্থে নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার পথটা খুব একটা সহজ ছিল না জানিয়েছেন প্রতীক্ষা ( Prateeksha ) ও প্রতীক ( Prateek Sharma )। এই যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৮৩ সালে মধ্যপ্রদেশে হোশাঙ্গাবাদ জেলার দোলারিয়া নামে একটি ছোট গ্রামে । এখানেই প্রতীক বেড়ে ওঠেন তার বাবা প্রবীণ শর্মার নিকট । যিনি দীর্ঘদিন ধরেই আধুনিক কৃষি চর্চার উপর কজ করে এসছেন । আধুনিক কৃষি চর্চার প্রভূত জ্ঞান ও দক্ষতা খুব ছোট থেকেই প্রতীকের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল । এখানেই প্রতীকের মনে তৈরি হয় কৃষি উন্নতির চিন্তা ভাবনা ।
এই ভাবনাই প্রবল হয়ে ওঠে যখন ২০০৩সালে প্রতীকের বাবা মারা যায় । এর পর পারিবারিক পেশা তাকেই সামলাতেই হত। প্রতীক নিজে ব্যাংকিং সেক্টরে কর্মরত হলেও পারিবারিক পেশা কৃষি সংক্রান্ত হওয়ায় তার মধ্যে থাকা কৃষি সংক্রান্ত আগ্রহ ব্যাপকভাবে বেড়ে যায় । প্রতীকের এই কাজটি আরও সহজতর হয়ে ওঠে তার স্ত্রী প্রতীক্ষার সহযোগিতায় । প্রতীক্ষা নিজে একজন আইএস অফিসার । সমাজ পরিবর্তনের একটা লক্ষ্য তার মধ্যেও ছিল । এই দুই সমাজপ্রেমীর যৌথ উদ্যোগে গড়ে ওঠে ‘গ্রিন এন্ড গ্রেইন্স’ ।
আরও পড়ুন…..Russia: আরও চাপে রাশিয়া,যুদ্ধবাজ পুতিনের দেশে পণ্য বিক্রিতে রাশ অ্যাপল,নাইকির
সমাজের কল্যাণ সাধন করা একটি কঠিন ব্রত । তবে এই দম্পতি যেভাবে নিজেদের মনের মধ্যে সমাজসেবার স্ফুলিঙ্গ জাগিয়েছেন তা সত্যই তাক লাগানোর মত । নিজেদের এত সুনিশ্চিত চাকরি ছেড়ে কৃষকদের জন্য কাজ করার মত পদক্ষেপ নেওয়া খুব একটা সহজ নয় । এই দম্পতির মতে, এত ত্যাগ স্বীকারের পর যখন খেটে খাওয়া মানুষগুলো বলে তারা তাদের পেশা নিয়ে আরও স্বপ্ন দেখার সাহস পাচ্ছে , তাদের চোখে মুখে সেই আত্মবিশ্বাস ফুটে ওঠে এবং যখন তারা বলে তাদের ছেলেমেয়েরা ভালো আছে সেই সময় নিজেদের ত্যাগ স্বীকারটা স্বার্থক মনে হয়। এই দম্পতি সমগ্র পৃথিবীর নিকট আহ্বান জানান যে কৃষিকল্যাণের জন্য মানুষ যেন আরও তৎপর হয়ে ওঠেন ।