Mahua Moitra: বিতর্কে জড়িয়ে মহুয়া এখন একা! অভিনেত্রীর মাথা থেকে হাত তুলল তৃণমূল

পাশে নেই দল, মন্তব্য করে আজ বিপদে সাংসদ। এ ঘটনা প্রথম নয়! ধর্ম নিয়ে গোটা দেশ জুড়েই নানা রাজনৈতিক শিবিরের নানা অভিমত। কেউ কখনও ধর্মের মধ্যে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ঈশ্বরের অবতার দেখছে। কেউ আবার ধর্মকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে বিষ ছড়িয়ে দিচ্ছে। আপাতত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সকল বিতর্কের জেরেই এ দেশ নিজের ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতিক খুইয়ে চলেছে।
প্রথমে মহম্মদ এবার কালী। ফের নতুন ধর্মীয় বিতর্ককে ঘিরে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। পরিচালক লীনা মণিমেকলাইয়ের তথ্যচিত্রের পোস্টার ঘিরে শুধূুই এদেশ নয় কানাডাতেও দেখা গিয়েছে ক্ষোভের আগুন। সেই পোস্টারে মূলত ফুটে ওঠে হিন্দু ধর্মের এক অন্যরকম চিত্র। কালী ঠাকুরের ( Kali Controversy ) মুখে জ্বলন্ত একটি সিগারেট সঙ্গে হাতে রয়েছে সমকামী পতাকা।
যখন কোনও জিনিস সম্পূর্ণ নতুন হয়, এই সমাজ তাকে অনেক সময় গ্রহণ করতে পারে না। যা আপাতত ঘটেছে এই তথ্যচিত্রের পোস্টারের ক্ষেত্রে, এমনটাই মত বহু বিশেষজ্ঞদের। তবে কালী ঠাকুরের এহেন রূপ যেন একেবারেই মনে ধরেনি একটা বড় অংশের হিন্দু ধর্মের মানুষদের। কানাডাতেও ( Canada ) সেই প্রসঙ্গে আপাতত বিক্ষোভরত হিন্দুরা। অবশ্য শুধুই কানাডা নয়, ধর্ম নিয়ে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে এই দেশেও। ইতিমধ্যে পরিচালকের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা। সরগরম রাজনীতি। একের পর এক মন্তব্য আর বিক্ষোভে গর্জে উঠছে আর এক শ্রেণী। এই বর্তমান পরিস্থিতি।
উল্লেখ্য, এই কালী বিতর্কে ( Kali Controversy ) অবশ্য মন্তব্য করতে বাকি রাখেননি অনেকেই। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘কালী বিতর্ক’-এ মন্তব্য করে আপাতত রাজনৈতিক রোষের মুখে মহুয়া মৈত্র ( Mahua Moitra )। এদিন কালীর ওই পোস্টার প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানে তিনি জানান, “আমার কাছে মা কালী হলেন, এমন একজন দেবী যিনি মাংস ভক্ষণ করেন, যাকে সুরা নিবেদন করা হয়। তারাপিঠে গেলে দেখতে পাবেন সাধুরা ধূমপান করছেন। কালী ভক্ত হিসাবে আপনি তাকে কীভাবে দেখতে চান, তা কল্পনা করার অধিকার রয়েছে। ভুটান কিংবা সিকিমে তাঁকে আরধনা করার সময় হুইস্কি দেওয়া হয়।” তবে সাংসদের এই মন্তব্যেকে খোদ তৃণমূল স্বীকার করতে রাজি নন। ধর্মের বেড়াজালে জড়িয়ে নিজেদের ভাবমূর্তি হারানোর ভয় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মধ্যেই লক্ষণীয়। তৃণমূলের দাবি, ‘এটি সাংসদের বক্তব্য, দলের নয়।’ ইতিমধ্যে দেশ জুড়ে তৃণমূলের সাংসদের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ফের বিতর্কের সুত্রপাত ঘটেছে। রাজনৈতিক একটি আলোড়ন পেয়েছে সাংসদের বক্তব্য।