চাপে মহুয়া মৈত্র! মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন তাঁর আইনজীবী

আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদরি জানান, আইনজীবী গোপাল শংকরনারায়ণ মহুয়া মৈত্র এবং তাঁর মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা করেন। এই বক্তব্য শোনার পর দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি জানান, যদি এটা সত্য হয়, তাহলে গোপাল শংকরনারায়ণ এই মামলার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না এবং এরপরেই সরে দাঁড়ালেন সংসদের আইনজীবী।

দিল্লি: রাজ্যে ইতিমধ্যেই চাপে রয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। চলছে লাগাতার ইডি ও সিবিআই হানা। এবার আর অস্বস্তি বাড়লো রাজ্য সরকারের। এবার চাপে পড়লেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। মানহানি মামলায় ধাক্কা খেলেন তিনি। প্রসঙ্গ, টাকার বদলে প্রশ্ন ইস্যু। কেন চাপে পড়লেন তিনি? জানা গিয়েছে এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন তাঁর আইনজীবী গোপাল শংকরনারায়ণ। তৃণমূল সাংসদদের আইনজীবী সরে যাওয়ায় পিছিয়ে গেল মামলা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৩১ অক্টোবর।

কেন সরে দাঁড়ালেন তাঁর আইনজীবী? জানা গেছে, এদিন আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদরি জানান, আইনজীবী গোপাল শংকরনারায়ণ মহুয়া মৈত্র এবং তাঁর মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা করেন। এই বক্তব্য শোনার পর দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি জানান, যদি এটা সত্য হয়, তাহলে গোপাল শংকরনারায়ণ এই মামলার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না এবং এরপরেই সরে দাঁড়ালেন সংসদের আইনজীবী। এই প্রসঙ্গে মহুয়া মৈত্র জানান, “আমাকে যদি সংসদের এথিক্স কমিটি বা সিবিআই কোনোরকমের প্রশ্ন করে, আমি নিশ্চয়ই তার জবাব দেব। কিন্তু বিজেপির ট্রোল বাহিনী বা আদানিদের অধীনে সংবাদমাধ্যমগুলির কোন প্রশ্নের জবাব দেব না।”

TMC,BJP,Politics,Delhi

তবে এই মামলায় শুধু এই চাপই নয়। এই মামলা সংক্রান্ত আরও একটি ঘটনায় চাপে পড়েছেন তৃণমূল সাংসদ। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের তোলা অভিযোগে একটি বিবৃতি দিয়ে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন হীরানন্দানি গ্রুপ। কিন্তু তার দুদিন বাদেই দর্শন হীরানন্দানির তরফ থেকে একটি সাদা কাগজে লেখা বিবৃতি সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে বলা হয়েছে সুবিধা পাওয়ার জন্য তৃণমূল সাংসদকে অজস্র অন্যায্য সুবিধা দেওয়া হয়েছে তাদের তরফ থেকে। যদিও এর পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি জানিয়েছেন, এই বিবৃতি সাদা কাগজে দেওয়া, তাদের লেটারহেড থেকে নয়। তিনি সরাসরি জানান এই কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বিজেপি আইটি সেলের কোন কর্মী। এবার দেখার বিষয় পরবর্তী শুনানিতে আর কি সত্যি উঠে আসে।




Leave a Reply

Back to top button