পৃথিবীর বাইরে রাগী গ্রহ বৃহস্পতিতে রয়েছে প্রাণ! গবেষণায় বিজ্ঞানীদের চাঞ্চল্যকর দাবি

আমাদের এই বিচিত্র সৌরমণ্ডলকে ঘিরে কত কৌতূহল রয়েছে আমাদের মনে। ভাবলেও শিহরিত হয়ে উঠি কত কিছু জানার বাকি এখনও। আমরা পৃথিবী নামক গ্রহে বাস করি, এখানে প্রাণের অস্তিত্ব বিদ্যমান। কিন্তু এর বাইরেও যে এত গ্রহ, নক্ষত্র রয়েছে সেখানে কি প্রাণের হদিশ পাওয়া যাবে? আমাদের আড়ালে কি ঘটে চলেছে সেখানে? কি আছে এসব গ্রহ ও উপগ্রহে। ভারী জানতে ইচ্ছে করে। তবে বিজ্ঞান এতই অগ্রসর হয়েছে যে, এসব এখন আমাদের নখদর্পণে।

যুগের দাবিকে মান্যতা দিয়ে বিজ্ঞান আজ অনেক দূরে প্রসারিত। প্রাণের অস্তিত্বের খোঁজে লাল গ্রহ মঙ্গলে অনেক অভিযান ও অনুসন্ধান চালানো হয়। মঙ্গলে প্রাণের হদিশ পাওয়া যায়নি। মঙ্গলে প্রাণের হদিশ না পেলেও অন্য গ্রহে কি পাওয়া যাবে না! এর উত্তরেই এবার গবেষণার কেন্দ্রে উঠে আসে বৃহস্পতি ( Jupiter )। মিশন বৃহস্পতি। আর মিশনেই উঠে এলো বৃহস্পতিতে রয়েছে একটি চাঁদ ‘ইউরোপা’ ( Europa )। এবার এই চাঁদ নিয়েই আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।

 planet Jupiter
planet Jupiter

আরও পড়ুন…………সন্তান নেই, ভালোবাসতেন নিজের ছেলের মত! এই ব্যক্তিকেই সমস্ত সম্পত্তি দিয়ে গেলেন লতা মঙ্গেশকর

বিজ্ঞানীদের আশার আলো দেখার অনেক কারণ রয়েছে। কারণ ‘ইউরোপা’য় জল রয়েছে। এই জলের কোনও তল নেই। অতল এই মহাসাগরের হাত ধরে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াটা কঠিন কিছুই নয়। শুধু কি জল এখানে পাওয়া গেছে অক্সিজেনের হদিশ। ইউরোপার একটি একটি পিঠে বরফে মোড়া সাদা চাদর। সেখানেই রয়েছে অক্সিজেন। এই সব বিষয়বস্তু থেকে ইঙ্গিত মেলে যে এখানে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।

এই সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেবার নয়। অনেক বড় বড় বিজ্ঞানীরা বৃহস্পতি গ্রহ নিয়ে অনেক রকম মন্তব্য করেছেন। অনেকেই বলেছেন যে, ইউরোপাকে দুর্বল ভাবার কোনও কারণ নেই। কারণ ইউরোপায় জোরালো অভিকর্ষ বল রয়েছে। আর বলের জেরেই যে কোনও প্রাণের পক্ষেই এখানে অস্তিত্ব বজায় রাখা সহজ।

আরও পড়ুন…………মিঠাই ধারাবাহিকে নয়া মোড়! গুরুতর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সিদ্ধার্থের, ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো নিয়ে হইচই নেটপাড়ায় 

প্রসঙ্গত এর আগেও ইউরোপাকে নিয়ে আশার আলো দেখিয়েছেন বহু গবেষক। তবে এবারের সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। প্রাণের হদিশ যে এখানে পাওয়া যাবে সে কথা হলফ করেই বলছেন বিজ্ঞানীরা। এখন অপেক্ষা আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা আদৌতে কতটা সফল হতে ইউরোপাকে নিয়ে।




Leave a Reply

Back to top button