সন্তানদের জন্য মশা মারার তেল ও ব্লিচিং পাউডার আনলেন মা দুর্গা

এই উদ্যোগের পেছনে হাত রয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

শুভঙ্কর,দমদম: রাজ্যে দুর্গাপুজোর আবহাওয়ার মাঝে অব্যাহত ডেঙ্গি আতঙ্ক। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এরই মাঝে ডেঙ্গি থেকে সতর্ক করতে দেখা গেলো এক অভিনব দৃশ্য। সন্তানদের জন্য মশা মারার তেল ও ব্লিচিং পাউডার আনলেন মা। নিশ্চয়ই ভাবছেন এতে নতুনত্ব কি আছে? তবে এই মা সেই মা নন, ইনি হলেন আমাদের সবার মা, দেবী দুর্গা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। দক্ষিণ দমদম পুরসভার বাড়ি বাড়ি গিয়ে মা দুর্গা দিলেন এই তেল ও পাউডার।

এই উদ্যোগের পেছনে হাত রয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের।কারণ ওই এলাকার অবস্থা শোচনীয়। ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। সবচেয়ে মজার বিষয়, এদিন বহু পরিবারের লোকজনেরা সেলফি তোলেন মা দুর্গার সাথে। কারণ এর আগে তারা এরম কিছু দেখেননি। এ বিষয়ে ওই এলাকার কাউন্সিলর দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ পুজো সামনেই চলে এসেছে কিন্তু মশা নামক অসুর আমাদের পিছন ছাড়ছে না। তাই আজ আমাদের ওয়ার্ডে মশা মারার তেল, ব্লিচিং পাউডার এই সমস্ত জিনিস বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি। পৌরসভা থেকে এই উদ্যোগ নিলে আমাকে আর ভাবতে হতো না।”

Dengue,Festival,Durga Puja,Durga at the door,South Dumdum

উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে রাজ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি শোচনীয় পর্যায়। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভা সহ বিভিন্ন পৌরসভা ডেঙ্গু রোধ করার জন্য এলাকায় এলাকায় চালাচ্ছে অভিযান। শেষ পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ১৪০। আক্রান্ত বিষয় শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা এবং তৃতীয়তে মুর্শিদাবাদ। সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়ে গেছে উত্তর ২৪ পরগনায়, কলকাতা ও মুর্শিদাবাদে ছাড়িয়ে গেছে পাঁচ হাজার। তবে কিছুটা সুরক্ষিত রয়েছে বাঁকুড়া, নন্দীগ্রাম, পুরুলিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। হাজারের ধারে বা কাছে নেই এই জেলাগুলি। এবার এই মুহূর্তে দেখার বিষয় লাগাতার অভিযান চালিয়ে ডেঙ্গুর রুখতে সফল হবে কিনা রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই সরকার ও স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডেঙ্গু থেকে সতর্ক থাকার জন্য। পুজোর আগে কি কাটবে এই আতঙ্ক? সেটাই এখন দেখার বিষয়।




Leave a Reply

Back to top button