অন্ধকারের মধ্যে কী একটা যেন যাচ্ছে, টর্চের আলো ফেলতেই নড়ে উঠল ডোরাকাটা, বনগাঁয় আতঙ্ক

অন্ধকারের মধ্যে কী একটা যেন যাচ্ছে। টর্চের আলো ফেলতেই স্থির। গায়ে ডোরাকাটা দাগ। চোখগুলো যেন জ্বলছে। তবে কি বাঘ?

অন্ধকারের মধ্যে কী একটা যেন যাচ্ছে। টর্চের আলো ফেলতেই স্থির। গায়ে ডোরাকাটা দাগ। চোখগুলো যেন জ্বলছে। তবে কি বাঘ? লোকালয়ে দক্ষিণারায় ঢুকে পড়লে যে সর্বনাশ! আতঙ্কে সিটিয়ে আছেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার বনগাঁর ঘাটবাড় পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুরের আমবাগান এলাকার বাসিন্দারা।

গ্রামবাসীদের দাবি ওটা বাঘ। টর্চের আলো ফেলতেই যেভাবে ডোরাকাটা দাগ ঝিলিক দিয়ে উঠল তাতে বাঘ না হয়ে যায় না। কিন্তু বন দফতরের কর্মীরা ধন্দে। বাঘ না বাঘরোল, ঠিক করতে পারছেন না তারা। মাঝখান থেকে আতঙ্কে দিন কাটছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘বাঘ’ দেখতে পান এলাকার তরুণী বর্ষা সানা। তাঁর কথায়, ‘ঝোপের মধ্যে কী যেন একটা নড়েচড়ে উঠল। টর্চ জ্বালাতেই দেখি ডোরাকাটা। স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। ভয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল’। তবে বর্ষাই প্রথম নয়, এর আগেই কয়েকজন বাঘ দেখেছেন এই এলাকায়। তারপর থেকেই কার্যত নাওয়া খাওয়া মাথায় উঠেছে।

Bangaon,Tiger,Fear

স্থানীয় বাসিন্দা অশোক সরকার বলছেন, ‘অন্ধকারের মধ্যে ভিডিও তোলা হয়েছে। বন দফতরের কর্মীরা ঠিক করে বুঝতে পারছেন না, ওটা বাঘ নাকি বাঘরোল। ওঁরা পায়ের ছাপ দেখেছেন। তাতে মনে হচ্ছে ওটা বাঘরোল নয়। সামনে বাচ্চাদের স্কুল। অনেকে রাতে মাঠেও যায়। ওটা যদি সত্যিই বাঘ হয় তাহলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে’।

বুধবার ঘটনাস্থলে আসে পশুপ্রেমী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা। তাদের দাবি, ওটা বাঘ নয় বাঘরোল। সংস্থার অন্যতম কর্মকর্তা টুকাই বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে, ওটা বাঘরোল। বাঘ নয়। বাঘরোল মানুষের ক্ষতি করে না। মাছ, সাপ, ইঁদুর খায়। গ্রামবাসীদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই’।

বন দফতর সূত্রে খবর, বাঘের ডেরা ক্রমশ কমে আসছে। ইয়াস বিধস্ত সুন্দরবনের একাধিক মিষ্টি জলের জলাশয় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। নষ্ট হয়ে গিয়েছে জঙ্গল চরাভূমি। তারওপর পানীয় জল এবং খাবারের অভাবও রয়েছে। ফলে নতুন বাসস্থানের খোঁজে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বাঘ।




Leave a Reply

Back to top button