১৪ লাখ টাকা নিয়ে যাননি অনুষ্ঠানে, বাংলাদেশের সংগীতশিল্পী মমতাজের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা এ রাজ্যে
দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চলছে মামলা। মামলায় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে জামিন পান বাংলাদেশের গায়িকা মমতাজ। কিন্তু করছেন না সহযোগিতা।

শুভঙ্কর, কলকাতা: কথা রাখেননি বাংলাদেশের সংগীত শিল্পী মমতাজ বেগম। অনুষ্ঠানের অগ্রিম ১৪ লক্ষ টাকা নিয়ে করেছেন প্রতারণা। আয়োজকের তরফ থেকে মামলার দায়ের করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। ১৫ বছর ধরে চলছে এই মামলা। এইবার মমতাজের বিরুদ্ধে মুর্শিবাদবাদের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট অলক দাস গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এপার-ওপার দুই বাংলাতেই বেশ জনপ্রিয় লোকগান শিল্পী মমতাজ বেগম। তবে আজ থেকে ১৫ বছর আগে একটি অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য চুক্তি করলেও সেই অনুষ্ঠানে তিনি আসেননি। আর্থিক ক্ষতি এবং মানহানি হয় আয়োজকের। তিনি মামলা ঠুকে দেন মমতাজের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় এখনও চলছে। বিভিন্ন সময়ে টালবাহানা করে এড়িয়ে যাচ্ছেন মমতাজ বলে অভিযোগ। এর আগেও তিনবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। প্রতিবারই কোন না কোন ভাবে বেঁচে গেছেন তিনি। জানা গেছে চলতি মাসের ৯ তারিখে মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে উপস্থিত থাকার কথা ছিল এই সংগীত শিল্পীর। তবে তিনি উপস্থিত হননি। কানাডায় তাঁর সংগীত অনুষ্ঠান আছে বলে বিষয়টিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বাংলাদেশের হাই কমিশনারের মাধ্যমে একটি চিঠিও জমা দেন। তাতে কাজ হয়নি। ঐদিন মামলার চার্জ গঠনের দিন থাকায় মমতাজকে সশরীরে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আদালতের থেকে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল উপস্থিত না হলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবে। শেষমেষ হয়েছেও তাই।
২০০৮ সালে মমতাজের বিরুদ্ধে মামলা করেন শক্তিশঙ্কর বাগচী নামের এক আয়োজক। তাঁর অভিযোগ ওই বছরে ডিসেম্বর মাসে একটি অনুষ্ঠানের জন্য ১৪ লক্ষ টাকায় চুক্তি করেন বাংলাদেশের এই গায়িকা। অগ্রিম টাকা পাওয়ার পরেও তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। আয়োজকের পক্ষ থেকে সেই টাকা ফেরত চাওয়া হলেও তিনি তা দিতে চাননি। অন্যদিকে শিল্পী অনুষ্ঠানের না আসায় ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় শক্তিশঙ্করকে। প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ দীর্ঘদিন ধরে চলা এই মামলায় আজকে আমি পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে গেছি। সেই দিন ভারতীয় মুদ্রায় ১৪ লক্ষ টাকা নিয়ে অনুষ্ঠান না করার জন্য অনেক আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছি আমি। আমি ন্যায় চাইছি। আমার থেকে নেওয়া অগ্রিম টাকা সুদ সহ ফেরত ও এত বছর ধরে চলা মামলার ক্ষতিপূরণ চাইছি আমি”।