এশিয়া কাপে বাঘ থেকে বিড়াল বাংলাদেশ, বিশ্বকাপে অভিজ্ঞদের উপরই বাজি ধরতে চান কোচ-অধিনায়ক
এশিয়া কাপে অপেক্ষাকৃত তরুণ টিম নিয়ে কার্যত নাকানিচোবানি খেল টাইগাররা। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এখন ভাবছেন, অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের নিয়ে গেলেই ভালো হত।

ব্যাক টু ব্যাক জয় টিম ইন্ডিয়ার। প্রথমে পাকিস্তানকে দূরমুশ, তারপর শ্রীলঙ্কাকে হেলায় হারানো। রবিবারের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত। দ্বিতীয় দল হিসেবে উঠে আসার জন্য এবার শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মধ্যে লড়াই। ভারতের জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশের বিদায় নিশ্চিত। এশিয়া কাপে অপেক্ষাকৃত তরুণ টিম নিয়ে কার্যত নাকানিচোবানি খেল টাইগাররা। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এখন ভাবছেন, অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের নিয়ে গেলেই ভালো হত।
বাংলাদেশের কোচ বরাবর তারুণ্যের উপর জোর দিয়েছেন। সে এশিয়া কাপ হোক কিংবা বিশ্বকাপ। তিনি তরুণদের সুযোগ দেওয়ার পক্ষপাতী। কিন্তু এশিয়া কাপের এই জঘন্য পারফরম্যান্সই কি তাঁর চোখ খুলে দিল? বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডে সিরিজ খেলতে যাবে সাকিবরা। সেখানে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের নিয়েই টিম সাজাতে চাইছেন চন্ডিকা। আসলে এশিয়া কাপে তরুণ ক্রিকেটারদের ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণেই এমন ভাবনা ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত মাহমদুল্লাহ, সৌম্য সরকারদের শিকে ছিঁড়তে চলেছে।
টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদও মাহমদুল্লাহর বিশ্বকাপ টিমে থাকার কথা বলেছেন। নিউজিল্যান্ড সিরিজেও সুযোগ পাচ্ছেন তাঁরা। ভালো খেলাতে পারলেই তাঁদের সামনে খুলে যাবে বিশ্বকাপের দরজা। সাকিবও অভিজ্ঞদের খেলানোর পক্ষে। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ মুখ থুবড়ে পড়ার পর সাকিব বলেছিলেন, ‘এশিয়া কাপ দিয়ে একটা ‘রিয়েলিটি চেক’ হয়ে গেছে সবার। মানে পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে কে কোথায় আছেন, সেটা মোটামুটি বোঝা গেছে’। ভালো খেলার খিদেটাই নাকি টিমের মধ্যে দেখতে পাননি কোচ-অধিনায়ক।
এখান থেকেই আসছে অভিজ্ঞদের খেলানোর ভাবনা। কোচ মনে করছেন, অভিজ্ঞরা খেললে চাপের পরিস্থিতিতে ঝরা পাতার মতো দেখাবে না টিমকে। আগুনে পেস বোলিংয়ের সামনে গুটিয়ে যাবে না টাইগাররা। অন্তত লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করবে। শুধু ব্যাটে রান পাওয়ার অপেক্ষা। বাকি কাজটা অভিজ্ঞতাই করে দেবে। বোর্ড নির্বাচকরাও কোচ এবং অধিনায়কের এই ভাবনার সঙ্গে খুব একটা দ্বিমত পোষণ করছেন না বলেই জানা গেছে।